নাটোরে মুসুল্লিদের দ্বন্দ্বে পুলিশ কর্মকর্তাকে জড়িত করায় ক্ষোভ

নাটোরঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ার গয়লারঘোপ গ্রামে গত ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠানের ঘোষনাকে কেন্দ্র সংঘর্ষের ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে জড়ানোর প্রতিবাদ করেছেন মসজিদের ইমাম ,মোয়াজ্জিনসহ এলাকাবাসী। সোমবার ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গয়লার ঘোপ গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভ জানিয়ে প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গয়লারঘোপ গ্রামের কেন্দ্রীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন নওশাদ আলী বলেন, মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি গত বছরের ১৫ জুন ঈদুল ফিতরের ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। ওই ঘোষনার প্রতিবাদ করে মারমুখি হয়ে ওঠেন প্রভাবশালী প্রতিবেশী কফিল উদ্দিন মোল্লাসহ তার পরিবারের লোকজন। তাদের বিরোধীতার প্রতিবাদ করতে গেলে তারা নিরীহ মুসল্লিদের ওপর চড়াও হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘষের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু কফিল উদ্দিন মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজন  হঠাৎ করে গত শুক্রবার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এই গ্রামের বাসিন্দা রাজশাহী ডিবিতে কর্মরত এসআই শফিকুল ইসলাম শফিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন। তারা শফিকের বিরুদ্ধে হামলার নির্দেশদাতা বলে অভিযোগ করেন। এদিন এসআই শফিক ছাড়াও গ্রামের নিরীহ সাধারন মানুষদের দোষারোপ করা হয়েচে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্যেশ্য প্রণোদিত। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। অথচ সেদিন শোরগোল শুনে এসআই শফিক মুসল্লিদের মধ্যেকার সংঘর্ষ থামাতে ছুটে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন। তিনি কোন পক্ষেই ছিলেন না। অথচ কফিল উদ্দিন মোল্লা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রচারের জন্য এসআই শফিক সহ নিরীহ গ্রামবাসীকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা এবং সঠিক নয়। উপরন্তু প্রভাবশালী কফিল উদ্দিন মোল্লাসহ তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও কোন কিছুকেই তারা আমলে নেয়না।
সংবাদ সম্মেলনে  অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গয়লারঘোপ গ্রামের ওয়াক্তিয়া মসজিদের ঈমাম আব্দুর রাজ্জাক, আসাদ আলী,সুলতান , রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *