কলেজ ছাত্রী অপহরণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

নাটোর অফিস ॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজ ছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় আতিক হাসান(২২) ও সুমন আলী(২৩), টিপু সুলতান(৩৩), আবু জাফর(২৫) নামে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আতিক হাসানকে দু’টি ৯(১) ও ৭ ধারায় ৬০ বছরের ( দু’বার যাবজ্জীবন) কারাদন্ড এবং ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একটি সাজা শেষ হওয়ার পর অপরটির সাজা শুরু হবে। সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামীদের উপস্থিতে এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আতিক হাসান গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়নপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে, ও একই এলাকার আশরাফ হোসেন মাস্টারের ছেলে সুমন আলী ও টিপু সুলতান আর আবু জাফর হলেন সাত্তার আলীর ছেলে। অপহরনের স্বীকার কলেজ ছাত্রী স্থানিয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ আগষ্ট সকালে নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেটে উত্তরনারীবাড়ি এলাকায় প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যায় ওই ভিকটিম। এসময় রাস্তার পার্শে আতিক হাসান, সুমন আলী, টিপু সুলতান ও আবু জাফর ছাত্রীটিকে জোর করে অপহরন করে সাদা মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখঁজি করে ব্যর্থ হয় তার পরিবার। পরে অপহৃতের চাচা আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে চারজনের নামে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ১০দিন পরে ২০ আগস্ট নাটোর জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট চত্তর থেকে পুলিশ অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের ৯ বছর পর আদালত মামলার প্রধান আসামি আতিক হাসানকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ ধারায় যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অপর তিন আসামী সুমন আল, টিপু সুলতান ও আবু জাফর কে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমান আদেশ দেন। জরিমানার টাকা অপহৃত পাবে উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়।রায়ের সময় অভিযুক্ত চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আতিক হাসানের একটি সাজা শেষ হওয়ার পর অপরটির সাজা শুরু হবে বলে বিজ্ঞ বিচারক আদেশ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *