নাটোর
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে মাসুদ রানা (২০) নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রীর মা থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ মাসুদ রানাকে সান্যালপাড়া এলাকা থেকে আটক করে। সে উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের সান্যালপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। ছাত্রীর মায়ের দাবি ধর্ষণের ফলে তার মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে।
মামলায় ছাত্রীর মা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তার মেয়েকে মাসুদ রানা প্রেমের প্রস্তাব দিত। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে মাসুদ রানা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার কেউ না থাকার সুযোগে মাসুদ রানা তাদের বাড়িতে এসে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং দশ দিনের মধ্যে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করে। কিন্তু পরদিন থেকে তার মেয়ের সাথে মাসুদ রানা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর তিনি মেয়ের নিকট থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। বর্তমানে তার মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্বা বলে তিনি জেনেছেন। বিষয়টি পারিবারিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলে মাসুদ রানা তার মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে বুধবার সন্ধ্যায় মাসুদ রানাকে আসামী করে বাগাতিপাড়া থানায় তিনি মামলা করেন।
বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ পিপিএম বলেন, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে মাসুদ রানাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নাটোর জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। তাছাড়াও ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা এবং জবানবন্দি গ্রহনের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
