নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খাকশা স্কুলপাড়া এলাকায় বদ্ধঘর থেকে লিটন হোসেন (৪৫) নামে এক যুবকের গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে স্থাণীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছেন। লিটন ওই গ্রামের মৃত রুস্তুম আলী ডাক্তারের একমাত্র ছেলে।
বড়াইগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোমিন আলী স্থাণীয়দের বরাতদিয়ে বলেন, লিটন একাই ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। গত সোমবার সন্ধার পর থেকে প্রতিবেশিরা তাকে দেখতে পায়নি। শুক্রবার দুপুরে অপর প্রতিবেশি নাসির ফকির তার ভুট্টার জমিতে সার দিতে গিয়ে র্দুগন্ধ পায়। পরে জানালা দিয়ে লিটনের লাশ দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তিনি আরও বলেন, লিটনের বাবা মারা যাবার পর তার মা বোনদের বাড়ীতে থাকেন। আর লিটন একাই বাড়ীতে থাকতেন। কোন কাজ করতেন না। অনেকটা বাউন্ডলে টাইপের ছিলেন। এতে তার প্রথম স্ত্রী দুই সন্তানসহ বাবার বাড়ী চাটমোহরে চলে গেলে আবার বিয়ে করেন। সম্প্রতি সে স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যান। তাই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ষ্ট্রোক জনিত করনে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
লিটনের ভাতিজা বেলাল হোসেন বলেন, চাচার ছেলে সোমবার সন্ধায় তার বাবার সাথে দেখা করে চাটমোহর চলে যায়। এরপর আর চাচাকে দেখা যায়নি। কেন এমটা হলো বুঝা যাচ্ছে না।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, সিআইডি ও লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।