প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর প্রথম সিজার!

নাটোর অফিস॥
প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর প্রথমবারে মত সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছে হয়েছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। রোববার সকালে জোসনা বেগম (৩২) নামের এক প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে হাসপাতালটি এই নতুন কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হলো। অপারেশনে ওই প্রসুতি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। প্রসুতি জোসনা বেগম উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামের মহব্বত হোসেনের স্ত্রী। এদিকে প্রথমবারের মত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক প্রসুতির সন্তান জন্ম হওয়ার খবরে উৎচ্ছসিত হয়েছেন উপজেলার নারী সমাজ। এছাড়া খুশী হন উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার নাস সহ সকল পর্যায়ের স্বাস্ত্য সেবা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালুর দীর্ঘ ৪১ বছর পর প্রথমবারের মত সিজারিয়ান ওটি কার্যক্রমের চালুর খবরটি এলাকাবাসীর কাছে একটি স্বস্থির খবর।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঃ রাজ্জাক, সহকারী সার্জন ডা. রেজাউল করিমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং নার্সদের সহযোগীতায় ওটি পরিচালনা করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি ডা. খন্দকার মাহবুবা জান্নাত । এ্যানেসথেশিয়ায় ছিলেন ডা. মমতাজুল ইসলাম।
জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি ডা. খন্দকার মাহবুবা জান্নাত বলেন, এই হাসপাতালে প্রথম অপারেশন সুষ্ঠুভাবে করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। খুব সুন্দর ভাবে অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ্য রয়েছেন।
নবজাতকের দাদী জানান, বিনা পয়সায় অপারেশন করতে পেরে তারা খুবই আনন্দিত। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আ. রাজ্জাক বলেন, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন চালু হওয়ার মাধ্যমে উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো। এখন থেকে এই কার্যক্রম নিয়মিত চালু থাকবে বলেও তিনি জানান। তিনি অরো জানান, আগে এই উপজেলার গর্ভবতী মহিলাদের সিজারের জন্য অনেক টাকা ব্যয় করে ক্লিনিকে যেতে হতো। এতে দূর্ভোগের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো তাদের পরিবারকে। সরকারের বাস্তবমুখী উদ্যোগের কারণে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা এখন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার জন্য আমরা নিরলস কাজ করছি।
উল্লেখ্য ১৯৮৩ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০২২ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *