প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বির নির্বাচনী অফিসে গিয়ে কুশল বিনিময় করেন নৌকার প্রার্থী বকুল

নাটোর অফিস॥
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী অফিসে গিয়ে তার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। এই ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী গণসংযোগের এক পর্যায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী অফিসে জান তিনি। এসময় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি। এদৃশ্য দেখার পর উপস্থিত জনসাধারণ ও কর্মীসমর্থকরা মুগ্ধ হয়েছেন। এলাকাজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। নাটোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এবার এই দুজনের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানিয়েছে ভোটাররা।
এর আগে দিনব্যাপী ওয়ালিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন শহিদুল ইসলাম বকুল। এসময় তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে এই জনপদের প্রতিটি পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নযনে কাজ করেছি। এই জনপদ আজকে বৈষম্য মুক্ত, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জনপদে রুপান্তর করেছি। অটোরিক্সা, ভ্যানচালক, রিক্সা চালকদের মোড়ে মোড়ে আর চাঁদা দিতে হয় না। কাউকে আর ভাতার কার্ড নিতে টাকা দিতে হয় না।’
এমপি বকুল আরো বলেন, এই ধরাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলমত নির্বিশেষে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহব্বান জানান তিনি।’
এ আসনে আওয়ামী লীগসহ মোট ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলো-আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল (নৌকা), আওয়ামী লীগের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ (ঈগল), জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজল রায় (ঢেঁকি), জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রমজান আলী সরকার (কাঁচি), জাতীয় পার্টির আশিক হোসেন (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন ফারুক (ট্রাক), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী লিয়াকত আলী (একতারা) , বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল (হাতুরি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন (মশাল)।
প্রার্থী ও ভোটারদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারে প্রতিদিনই প্রার্থীরা গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন। তবে এদিক দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ ছাড়া অণ্য প্রার্থীদের তেমন প্রচারনা নেই। এখন পর্যন্ত এ আসনে নির্বাচন কেন্দ্রীক কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ফলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবার ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও স্থানীয় ভোটাররা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *