নাটোরে প্রকাশ্যে আ’লীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা

নাটোর অফিস ॥
নাটোরের লালপুরে কদিমচিলান ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি প্রমাণিকে(৪৫) হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। হাত ও পায়ের রগ কেটে তার হত্যা নিশ্চিত করা হয়। আজ রোববার(৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে স্থানীয় ডাঙ্গাচিলান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন ও নিহতের বড়ভাই আরশাদ আলী প্রমাণিক হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল সমর্থক হিসেবে পরিচিত ওসমান গনি রোববার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে ডাঙ্গাপাড়া চিলান বাজারে গাড়ির তেল কিনতে দাড়ান। এসময় ১০-১৫ জন তাকে ঘিরে ধরে হামলা চালিয়ে হাত ও পায়ের রগ কাটে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোপাতে থাকে দুর্বৃত্তরা।স্থানীয় একটি দোকানে তেল কেনার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ঘিরে ধরে।এসময় হাতুরিপেটা করা হয়।এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ওসমান গণির হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এলাকাবাসীদের ধারনা কদিমচিলান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হত্যার প্রধান আসামি ওসমান গনি। এই কারনে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ওসমান গনি উপজেলার একই গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
অপর একটি সুত্র জানায়,নিহত ওসমান গনির সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধে ওসমান গনির বাড়িতে এসে তার বাবা ও ভাইসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে এ ঘটনার জেরে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করে। পূর্ব বিরোধের জেরে ওসমান গনিকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকরাম হোসেন জানান, হামলাকারিরা ওসমানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন।সাবেক সদস্য রেজাউলের নেতৃত্বে হামলা হয় বলে তিনি লোকমুখে শুনেছেন।
লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আ স ম মাহামুদুল হক এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেছেন।
লালপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন জানান, ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওসমান গণির মরদেহ তার বাড়িতে রাখা হয়েছে।পুর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ওসি আরও বলেন, কদিমচিলান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ওসমান গণি। তদন্ত করে হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *