স্ত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন

নাটোর অফিস ॥
নাটোরে প্রতারণা করে বিয়ের পর স্ত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় স্বামী আহম্মদ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আহম্মদ আলী নাটোরের লালপুর উপজেলার গোদরা গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ জুন দন্ডপ্রাপ্ত আহম্মদ আলী মামলার বাদী ফয়জাল মোল্লার মেজো মেয়ের জামাই রফিকুল ইসলামের ভাই পরিচয় দিয়ে তার বাড়ীতে আসে। পরে ফয়জাল মোল্লার ছোট মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরপর দিন ১২ জুন তার মেয়েকে পাশের গ্রামের একটি বাড়ীতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভুয়া নাম ঠিকানা ও ভুয়া কাবিননামা করে বিয়ে করে। পরে কাউকে কিছু না জানিয়ে তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিম বিষয়টি বুঝতে পেরে তার বাবাকে জানালে একই বছরের ১৭ জুন নাটোর শহরের একটি বাড়ী থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহম্মদ আলীকে অভিযুক্ত করে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর পুলিশ আহম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
নাটোরের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, দীর্ঘ ২০ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আসামী আহম্মদ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানার অর্থ ভিকটিম পাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *