প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা চেয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নয়েজ মাহমুদের পরিবার

নাটোর অফিস ॥
জীবন বাঁচাতে আর্থিক সহযোগীতা চান নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা নয়েজ উদ্দিন মাহমুদের পরিবার। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা এখন বন্ধের উপক্রম। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে অবস্থান করছেন আওয়ামীলীগ নেতা নয়েজ উদ্দিন মাহমুদ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নয়েজ উদ্দিন মাহমুদ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৭ জুলাই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় ৩০ জুলাই ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলেও সেখানে ভর্তি করতে না পারায় নেয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে গত ১১ আগষ্টতার ব্রেনের অপারেশন করা হয় যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকা।
নয়েজ মাহমুদের স্ত্রী ও সন্তানরা জানান, নয়েজ উদ্দিন মাহমুদ সারাজীবন আওয়ামীলীগ রাজনীতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন।১৯৯১ সালে তিনি পাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালে ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১১ ও ২০২২ সালে দু’বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এই দুই মেয়াদে তিনি তিনটি স্বর্ণপদকও লাভ করেন। সেরা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১৯ বিঘা জমি তিনি জনসেবা ও দলীয় কাজ পরিচালনা করতে গিয়ে শেষ করেছেন। এখন বাড়ি ভিটার ১১ শতাংশসহ এক বিঘা জমি ছাড়া তার আর কোন সম্পদ নেই। তার বড় ছেলে ঢাকায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। আর ছোট ছেলে স্থানীয় একটি কলেজে ¯œাতক শ্রেণীর ছাত্র। পরিবারে উপার্জন করার কোন মানুষ নেই। তার চিকিৎসার জন্য এখনো দরকার বিপুল পরিমান টাকা।
তার বড় ছেলে তানজিম মাহমুদ জানান, স্থানীয় এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল তার বাবার চিকিৎসায় একলাখ টাকা দিয়েছেন। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রাজনৈতিক সহকর্মী ও স্বজনরা সহযোগীতা করেছেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। এজন্য তানজিম মাহমুদ তার পিতার জীবন বাঁচাতে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতা কামনা করেছেন। তাই এই জনপ্রিয় ও মানবিকমানুষটিরজীবনবাঁচাতেপ্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা ও সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *