বড়াইগ্রামে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আমন আবাদ

নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে রোপা আমনের চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রথমে খড়ায় চাষাবাদ ব্যহত হলেও দুই দফায় বৃষ্টিপাত আর সার-কিটনাশকের নিশ্চিত সরবরাহের ফলে বেড়েছে চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রামে এবার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার হেক্টোর। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত রোপন কার্যক্রম শেষ হয়েছে ১৫ হাজার ৪৮১ হেক্টোর জমি। আরও অন্তত ১ হাজার হেক্টোর জমি আমন চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছ। যা আগামী এক সপ্তহের মধ্যে রোপন সম্পন্ন হবে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত না থাকায় বীজতলা এবং জমি চাষের উপযোগিতা হারিয়েছিল। কিন্তু প্রথম দফায় বৃষ্টিপাতের ফলে বীজ ও জমি তৈরী করা হয়। পরবর্তীতে ভাড়ী বৃষ্টিপাতের ফলে পানি স্বল্পতা দুর হয়েছে।
জালোড়া গ্রামের কৃষক মখলেছুর রহমান বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে আমনের চাষ করেছি। এখন সেগুলো সবুজ হয়ে গেছে। সময়ত সার-কিটনাশক পাওয়ায় পরিচর্চার ক্ষেত্রেও কোন সমস্যা হচ্ছে না।
রামাগাড়ীর কৃষক মাসুদ রানা বলেন, আমি ৬ বিঘা জতিমে আমন চাষ করেছি। অন্যান্য উপজেলায় সারের সংকটের কথা শুনি কিন্তু আমাদের এখনো কোন সার সংকটে পড়তে হয়নি।
কৃষক প্রতিনিধি আদর্শ কৃষক কুমরুল গ্রামের আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, শেষে এসে ভালো বৃষ্টিপাত এবং সময়মত সার-কিটনাশক পাওয়ায় বড়াইগ্রামের মাঠে আমনের চাষ বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, আমন চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সার-কিটনাশক সরবরাহ নিশ্চিত করতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক মনিটরিং সেল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমিও নিয়মিত মাঠ ও সার-কিটনাশকের দোকান পরিদর্শন করছি।
ইউএনও মারিয়াম খাতুন বলেন, বড়াইগ্রামে যেন কোন অসাধু ব্যবসায়ী সারের কৃত্তিম সংকট তৈরী করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কোন অনিয়ম চোখে পড়লেই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *