নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ১৯ গরু-ছাগল উদ্ধারসহ তিন চোরকে পুলিশে সোপর্দ

নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৩ জন গরু চোরকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে চুরি যাওয়া ১৯ গরু-ছাগল পাশের গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১১ গরু ও ৮ টি ছাগল। মঙ্গলবার রাতে জামনগর এলাকা থেকে তাদের আটকের পর বুধবার এসব গবাদী পশু উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত গরু -ছাগল সহ ৩ চোরকে স্থানীয় ইুনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাগাতিপাড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গোচর গ্রামের নাজের আলীর ছেলে মামুন (৩০), একই গ্রামের কায়েম উদ্দিনের ছেলে আল মামুন ওরফে কালু (৫০) ও রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার দাসের চক গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪০)।
জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে জামনগর ত্রিমোহিনী গ্রামের নবাব আলীর বাড়িতে চুরি করতে যায় কয়েকজন চোর। এসময় গ্রামবাসী টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে বাঘা উপজেলার গোচর গ্রামের নাজের আলীর ছেলে মামুন ও একই গ্রামের কায়েম উদ্দিনের ছেলে আল মামুন ওরফে কালুকে আটক করে। পরে গনধোলাই দিলে তারা চুরির কথা স্বীকার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার দাসের চক গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪০) কে আটক করে গ্রামবাসী। চুরির পর আশরাফুল ইসলামের কাছে এসব গবাদি পশু সরবরাহ করা হতো বলে আটকরা জানায়।
আটকদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত আশরাফুল ইসলাম ও তাদের প্রতিবেশী স্বজনদের বাড়ি এবং দাসের চক বিল থেকে ৯ টি গরু এবং ৮ টি ছাগল উদ্ধার করা হয়। পরে একটি মাঠ থেকে আরও ২টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন সময় জামনগর ও আশেপাশের গ্রাম থেকে এসব গবাদীপশু চুরি যায় বলে স্থানীয়রা জানায়। উদ্ধার হওয়া এসব গরু-ছাগল এবং আটকদের স্থানীয় জামনগর ইউনিয়ন পরিষদে জড়ো করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে আটকদের পুলিশে সোপর্দ করা হয় এবং উদ্ধার হওয়া গরু জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস আরও জানান, আইন অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া গরু মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিকে উদ্ধার হওয়া গরুর মালিকদের মধ্যে জামনগর পশ্চিম পাড়া গ্রামের ইয়ার আলী, ত্রিমোহিনীর আফাজ আলী, হাঁপানিয়ার বাবলু ও শরিফুল জানান, কোরবানীর ঈদের আগে ও পরে তাদের গরু চুরি হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ওসি নাজমুল হক জানান, বুধবার জামনগর ইউনিয়নে ৩ গরু চোরকে আটক সহ কিছু গরু -ছাগছ উদ্ধার করা হয়েছে ,এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক জামনগর ইউনিয়ন পরিষদে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন গরু চোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে পশু চুরির মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া গরু-ছাগলের প্রকৃত মালিকের খোঁজ করা হচ্ছে। তদন্ত করে এগুলোর সঠিক শনাক্তকারী মালিকের পরিচয় পেলে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। ধারনা করা হচ্ছে এসব গরু-ছাগল ঈদুল আজহার আগে ও ঈদের পরে চুরি করা হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *