সোঁতি জালে মৃত্যু ফাঁদে পরিনত শেরকোলের নদী

নাটোর অফিস॥
নাটোরের সিংড়ায় নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র কাওছার আহমেদ (১৪) এর মরদেহ নিষিদ্ধ সৌঁতিজালে জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের রাণীনগর ব্রীজের স্লুইস গেট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোসল করতে নদীতে নেমে নিখোঁজ হয় কাওছার আহমেদ। সে রাণীনগর উজানপাড়ার হাবিবুর রহমান হবির ছেলে ও তেলিগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের রাণীনগর ব্রীজের স্লুইস গেটে একটি নিষিদ্ধ সৌঁতিজাল পরিচালনা করছিলেন কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী মো. আইয়ুব আলী, হায়দার আলী ও মনসুর রহমান প্রমুখ। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নদীতে গোসল করতে যায় মাদ্রাসা ছাত্র কাওছার আহমেদ। নদীতে ডুব দেওয়ার পরই সে নিখোঁজ হয়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সৌঁতিজালে জড়ানো তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ সেঁতি জাল পরিচালনা করার কারনে এই এলাকার নদী এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে এই এলাকার আইয়ুব আলীর পাতা অবৈধ সোঁতি জালে জড়িয়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছেলে মো. সেলিম মারা যায়। সেই আইয়ুব আলী গংদের পাতা অবৈধ সোঁতি জালে জড়িয়ে মাদ্রাসা ছাত্র কাওছার আহমেদ মারা যায়। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিজের ছেলে অবৈধ সোঁতি জালে জড়িয়ে মারা যাওয়ার পরও অবৈধ সৌঁতিজাল পেতে মাছ শিকার বন্ধ হচ্ছে না। সন্তান হারানোর পরও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই সোঁতি জাল পরিচালনাকারীদের। এনিয়ে প্রশাসনও নিরব রয়েছে।
অবৈধ সোঁতি জাল পরিচালনাকারী গংয়ের এক সদস্য হায়দার আলী বলেন, কাওছার সৌঁতিজালে জড়িয়ে মারা যায়নি। এসময় স্থানীয়রা তার কাছে সৌঁতিজাল কাটলেন কেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি তিনি কোন উত্তর দেননি। তবে বলেন তিনি সৌঁতিজালের সাথে নেই।
সিংড়া থানার ওসি তদন্ত মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,সকালে সৌঁতিজালে জড়ানো এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনানগু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *