নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে পুর্ব শত্রুতার জেড়ে জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সম্পাদক নজরুল ইসলাম (৫২)কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার দিঘলকান্দি বাজারে এ ঘটে। অভিযুক্তদের আটক করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
আহত নজরুল ইসলাম উপজেলার জোনাইল বাজারের বাসিন্দা ও জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের নাম মোস্তফা হোসেন (৩৫) ও আহসান আলী (৪০)। তারা উপজেলার খাক্ষা গ্রামের মৃত আমজাদ খাঁয়ের ছেলে।
জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোমাম্মেল হক বলেন, আমি ও গোপালপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, চান্দাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, নগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু, নজরুল ইসলামসহ প্রয়াত সাংসদের দোয়ার অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরতে ছিলাম। দিঘলকান্দি বাজারে আসার সাথে সাথে মোস্তফা হোসেন ও আহসান আলীসহ ১০ থেকে ১২ জন নজরুল ইসলামকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে লাঠি ও হাতুড়ি মারপিট শুরু করে। আমরা বাধা দিতে গিয়ে আমাকেও মারপিট করা হয়।
লিটন নামের এক স্থানীয় ব্যাক্তি বলেন, নজরুল ইসলাম ও মোস্তফা হোসেন প্রয়াত সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসের অনুসারী। প্রায় দুই বছর আগে জোনাইল বাজারে নজরুল ইসলামের অনুসারীদের সাথে মোস্তফা হোসেনের ভাই আহসান আলীর দ্বন্দ হয়। সেই দ্বন্দে আহসান আলী পা ভেঙ্গে যায়। তারই শোধ নেওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
নিলুফার ইয়াসমিন ডালু বলেন, আমাদের মোটরসাইকেল থামিয়েই তারা বলে তোর মরা বাপকে (প্রয়াত সাংসদ) কবর থেকে তুলে নিয়ে আয়। দেখি তোকে কে বাচায় বলেই মারপিট শুরু করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমার অনুসারীদের সাথে দ্বন্দ হয়েছিল সেই সময়ই মিমাংসা করে দেওয় হয়েছিল।
মোস্তাফা হোসেন বলেন, আমার ভাইকে তারা মেরে পা ভেঙ্গে দিয়েছিল। আমরা তো সামান্য কয়েকটা চর থাপ্পর দিয়েছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নজরুল ইসলামের ভাই গোলজার হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মামলা প্রক্রিাধীন রয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।