পাটের আঁশ ছাড়ানো প্রতিযোগিতা

নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পাটের আঁশ ছাড়ানো ব্যাতিক্রমী প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন কৃষক কামরুল ইসলামে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোয়ালিপাড়া গ্রামে এই আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগিদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এই প্রতিযোগিতার কথা লোকমুখে প্রচার করা হয়। এ সময় বলা হয় যারা একটি নির্দিষ্ট সময়ে সবচেয়ে বেশি পাটের আঁশ ছাড়াতে পারবে তারাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এমন প্রতিযোগিতার ঘোষণার পর এদিন আশেপাশের পাঁচটি এলাকা থেকে ছয়জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে সকল প্রতিযোগিদের মাথায় গামছা পরিয়ে দেন আয়োজক কৃষক কামরুল ইসলাম। পরে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর জন্য ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাছিমপুর গ্রামের দিনমজুর মেহেদী হাসান ৩৭ মুঠো পাট ধুয়ে প্রথম হন। ৩৪ মুঠো ধুয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন হরিরামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম এবং ২৬ মুঠো ধুয়ে তৃতীয় হয়েছেন কোয়ালিপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম।

 

প্রথম হওয়া মেহেদী হাসান বলেন, দেশের প্রায় সকল পর্যায়ের মানুষের মাঝে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকলেও তাদের নিয়ে কোন আয়োজন হয় না। এই রকম একটা আয়োজনে তিনি প্রথম হতে পেরে খুব খুশি। এইরকম আয়োজনে প্রতিযোগী হিসেবে এটি তার জীবনে প্রথম।
প্রতিযোগিতা দেখতে আসা গালিমপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউন্নবী রেনু বলেন, ব্যতিক্রম এই আয়োজনের কথা শুনে তিনি দেখতে এসেছেন। এরকম একটি আয়োজনের জন্য আয়োজককে তিনি ধন্যবাদ জানান।
আয়োজক কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর পাটের মৌসুমে দিনমজুরদের মুখে মুখে শোনা যায় ওই গ্রামের অমুক, আর একজন বলে ওই গ্রামের অমুক সবচেয়ে বেশি পাট ধুতে পারে। সেই বিষয়টি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই আয়োজন করা। প্রকৃতপক্ষেই কে সবচেয়ে বেশি পাট ধুতে পারে সেটি দেখা এবং কৃষকদের সামান্য বিনোদন দেওয়ার জন্য।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, কৃষিপ্রধান দেশে ফসল চাষের ক্ষেত্রে দিনমজুররা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জন্য আসলে কেউ কোন কিছু করেনা। এইরকম ব্যতিক্রম আয়োজনে তারা কাজের প্রতি আগ্রহী হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *