এএসপি জামিলের সহযোগীতায় ‘নগদ’ এর ভুল নম্বরে যাওয়া টাকা ফিরে পেলেন ব্যবসায়ী

নাটোর অফিস ॥
নাটোরের সিংড়া বাজারের শাহিন হোসেন নামে এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী গত ১২ মে টাঙ্গাইলের করোটিয়া হাটে ২২ হাজার টাকার মালামাল কিনেন। ্ও মালামালের মুল্য পরিশোধ করতে নগদে দেওয়া টাকা ভুল নম্বরে চলে যায়। সেই নম্বরে কল দিয়ে দেখে বন্ধ। এব্যাপারে ১৬ মে সিংড়া থানায় একটি জিডি করেন তিনি। পরদিন তিনি সিংড়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জামিল আকতার এর সাথে দেখা করে বিষয়টি জানান। এএসপি জামিল তাৎক্ষণিক নগদের ল এনফর্সমেন্ট হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে জানতে পারে নম্বরটি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের। অফিসিয়াল ই-মেইলের মাধ্যমে নম্বরটি আউটওয়ার্ড ট্রানজেকশন ব্লক করা হয়। পরদিন বাউফল থানার ওসির সহযোগিতায় থানার এএসআই স্বপন ওই বাড়িতে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর সাথে কথা বলেন। একাউন্ট ব্যবহারকারী জানান তিনি পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। পরে
বন্ধ সিমটি একটি মোবাইলে তুলে পাসওয়ার্ড রিসেট এর জন্য ওই নম্বর থেকে নগদের হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় অ্যাকাউন্ট ট্রানজেকশন বন্ধ করা আছে তাই পাসওয়ার্ড রিসেট হবে না। নতুন পাসওয়ার্ড পেতে হলে একাউন্টে আবার পুলিশের সরকারি ই-মেইলের মাধ্যমে উন্মুক্ত করতে হবে। এএসআই স্বপনের সাথে কথা বলার পর অফিশিয়াল মেইল থেকে ই-মেইল করে নম্বরটা উন্মুক্ত করেন এএসপি জামিল আকতার। এএসআই স্বপনের উপস্থিতিতে পাসওয়ার্ড রিসেট করে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী টাকা ফেরত পাঠান ব্যবসায়ী শাহিন হোসেনের কাছে। ব্যবসায়ী শাহিন হোসেন টাকা ফেরত পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং এএসপি জামিল হোসেনকে ধন্যবান জানান।
ব্যবসায়ী শাহিন হোসেন বলেন, নগদের নম্বর ভুল হয়ে টাকা চলে যায় অন্যত্র। এএসপি জামিল আকতার স্যারের প্রচেষ্টায় টাকা ফিরে পেয়ে মহাখুশি। পুলিশ প্রকৃত পক্ষেই জনগণের বন্ধু।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) মো. জামিল আকতার বলেন, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহারের সময় আমাদেরকে আরো সতর্ক হতে হবে। ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে উক্ত নম্বরে কল করে টাকা ফেরত না চাওয়াই উত্তম। এক্ষেত্রে থানায় এসে জিডি করে পুলিশের সহযোগিতা নিলে টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহীতাদের অবশ্যই মনে রাখা উচিত তাদের একাউন্টের পাসওয়ার্ড বা ওটিপি কারো সাথে কখনোই শেয়ার করা যাবে না। প্রতারক চক্র কৌশলে পাসওয়ার্ড বা ওটিপি জেনে নিয়ে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে পারে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *