মোবাইল না দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে শিশু মহিবুল্লাহকে হত্যা করে কিশোর নয়ন

নাটোর অফিস ॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে ৬ বছরের শিশু মহিবুল্লাহ হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। মাথা ন্যাড়া করা নিয়ে বিদ্রুপ করায় এবং মোবাইল ফোন না দেওয়ায় মামা সোহান মোল্লার ওপর প্রতিশোধ নিতে ৬ বছরের শিশু মহিবুল্লাহকে গলা কেটে হত্যা করে ১৩ বছরের কিশোর নয়ন মিয়া। পুলিশ কিশোর নয়ন মিয়াকে শুক্রবার গ্রেফতার করে। শনিবার পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
পুরিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন,সিংড়া উপজেলার গোটিয়া গ্রামের আবু ইছার সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রী শাপলা খাতুনকে তার বাবার বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার সাবগাড়ি ভিটাপাড়ায় রেখে যান। ইছা প্রায় তার শ্বশুরালয়ে এসে স্ত্রী ও তার ৬ বছরের ছেলে মহিবুল্লা কে দেখে যেতেন। এদিকে প্রায় মাসাধিকাল নানির বাড়িতে থাকার সুবাধে নানা বাড়ির প্রতিবেশী মামা মন্টু মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়ার সাথে মহিবুল্লাহর সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে নয়ন ন্যাড়া হলে তাকে নিয়ে মহিবুল্লাহ ও তার আপন মামা সোহান মোল্লা (১২) বিদ্রুপ করত। নয়ন মহিবুরøাহর কাছে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে চাইতো। কিন্তু না দেয়ায় এবং ন্যাড়া মাথার কারনে তাকে পাগল বলতো। এতে নয়নের রাগ হয় এবং প্রতিশোধ নিতে মনস্থির করে। কিন্তু মহিবুল্লাহ আপন মামা সোহান মোল্লা শারীরীকভাবে শক্তিশালি হওয়ায় তাকে বয় পেত নয়ন। তাই প্রতিশোধ নিত্যে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়ন পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে মহিবুল্লাহকে জনৈক শামসের আলীর ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মহিবুলের কাছে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি চলে যায়। কিন্তু হত্যার আগে নয়নকে ধারালো ছুরি ধার দিতে দেখে সোহান মোল্লা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তদন্ত শুরু করে সিআইডি পুলিশ। একপর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করে নয়ন।
উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার রাতে নানা বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে মহিবুল্লাহর বস্তাবন্দি গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে সিআইড পুলিশ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *