
জানা যায়, বিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের ব্যাপারে অভিবাবকদের কথা শুনছিলেন জেলা প্রশাসকসহ অতিথিরা। হঠাৎ হাতে মাইক নিয়ে এক ছাত্রী বক্তব্য শুরু করেন- আমাদের কি শিশু মনে করেন আপনারা? আমরা কি এখনো আর ছোট আছি? নেই। আমরা এখন বুঝতে শিখেছি। আমাদের জন্য বড় ভাবেন তবে জেনে রাখেন আমার শিক্ষক সাইফুল কোন যৌন নিপীড়ক হতে পারে না।চুমু দিলেই যৌন নিপীড়ক হওয়া যায় না। আর অতিরিক্ত টাকা নেয়ার ব্যাপারে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্য। আমাদের স্যাররা আমাদের থেকে কোন অতিরিক্ত টাকা নেন না। যারা আমার স্যারদের দোষারোপ করেন তারা মিথ্যা বলেন।
বক্তব্যের এ পর্যায়ে তাকে থামিয়ে দেন উপস্থিত অবিভাবকরা। তখন সকলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
তৃতীয় শ্রেনির এক ছাত্রীর অভিভাবক অভিযোগ করেন, সকল অভিভাবক যখন প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলছিলেন তখন নিজেদের পক্ষ কথা বলার জন্য এক শিক্ষিকা মারফত ওই ছাত্রীকে ডেকে পক্ষে কথা বলতে শিখিয়ে দেন। পরে অবশ্য ওই ছাত্রঅ পুরো বিষয়টি স্বীকার করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আশরাফুল ইসলামের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী, শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ, জর্জকোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্ত্তোজা আলী বাবলু, কথাসাহিত্যিক ডাঃ জাকির তালুকদার, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ খালিদ বিন জালাল, আইনজীবি খগেন্দ্রনাথ রায় প্রমুখ।


