নাটোরের ওয়ালিয়া-লালপুরে সড়কে খানাখন্দ, ভোগান্তি।

লালপুর: নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া-লালপুর প্রধান সড়কের সংস্কার কাজ শেষের ৩ মাস না পেরোতেই সড়কটির পাথর ও বিটুমিন উঠে রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় খানাখন্দ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহন চালক ও পথচারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালপুর উপজেলা পরিষদ, লালপুর থানা, লালপুর ফায়ার সার্ভিস, লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স, লালপুর স্টেডিয়াম, নর্থ বেঙ্গল সুগর মিলে যাতাযাতের একমাত্র পথ এই সড়কটি। ফলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় বিশ হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই ৭ কিলোমিটার সড়কটির (বিন্দিপাড়া, দিয়ারপাড়া, চকনাজিরপুর, ভুঁইয়াপাড়া, গোপালপুর ও লালুপর) এলাকা জুড়ে প্রায় ২২টি স্থানে পাথর ও বিটুমিন উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় খানাখন্দ। আর একটু বৃষ্টি হলেই এই সকল খানাখন্দগুলিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে এতে যানবাহনের চালক খানাখন্দ দেখতে না পেয়ে প্রতিদিনই দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে। আর জীবনের ঝুঁকি সড়কটি দিয়ে প্রতিদিনই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়াও এই সড়কটির (দিয়ারপাড়া, চকনাজিরপুর ব্রিজের মুখে, ভুঁইয়াপাড়া, ভুঁইয়াপাড়া মসজিদ, ভুঁইয়াপাড়া ঈদগাহ, ভুইয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে) ৫টি স্থানে প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা সড়কের উপরে ইট দিয়ে হেরিংবোম তৈরী করা আছে, যা সড়কটি সংস্কার করার সময় এই ৫ স্থান সংস্কার করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে সংস্কার কজ শেষ হওয়ার তিন মাস না পার হতেই রাস্তার এমন হাল হওয়ায় সমাগত বর্ষা মৌসুমে সড়কটিতে চলাচল নিয়ে আশঙ্কায় করছেন পথচারীরা।
পথচারী শাহিনূর ইসলাম, রাজু আহম্মেদসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছু দিন আগেই এই রাস্তা সংস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ, কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই রাস্তার পাথর ও বিটুমিন উঠে রাস্তাটি জুড়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে।
অটো ভ্যান চালক খোকন, মোর্শেদ ও শরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘রাস্তাটি এর আগেও এমন খানাখন্দে ভর্তি থাকায় কিছুদিন আগেই সংস্কার করেছে কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার মাস না পেরোতেই আবার ভাঙ্গতে শুররু করেছে।’
ভুটভুডি (নসিমন) চালক আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই রাস্তা ভাঙ্গতে শুরু করেছে বর্ষা মৌসুমে যে কি হবে ?’
ট্রাক চালক বিপুল ঘোষ বলেন, ‘সংস্কার কাজ শেষ না হতেই রাস্তা ভেঙ্গে আগের মতো মরণ ফাঁদের সৃষ্টি হয়ে গেছে। কিছু দিন পরে তো এই রাস্তা দিয়ে চলাচলই করা যাবে না।’
নাটোর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রুটিন মেইনটেইনস এর আওতায় ইসলাম কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কে এই সড়কটি সংস্কার কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নাটোর জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রাং বলেন, ‘গত মার্চ মাসে রুটিন মেইনটেইনস এর আওতায় সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। তবে কোথাও যদি ভেঙ্গে থাকে তা দ্রুত সংস্কার করা হবে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *