নাটোরে খুলেছে দোকানপাট, স্বাস্থ্যবিধি মিনিটরিংয়ে ডিসি

নাটোর অফিস॥
টানা দেড় মাস পর সরকারী নির্দেশনা মেনে আজ থেকে নাটোরে খুলেছে দোকান পাট ও বিপনী বিতানগুলো। নাটোরে খুলেছে সব ধরণের দোকানপাট। বিপনী বিতান, খাবারের দোকন, ইলেকট্রনিক্স, ক্রোকারিজ, সেনিটারী, স্টেশনারীসহ বিভিন্ন দোকান খোলায় প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে ঈদ পর্যন্ত শহরের জুয়েলারী দোকানগুলো বন্ধ থাকার ঘোষণার পর খোলেনি কোন জুয়েলার্স। তবে প্রতিটি দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে কড়া নজরদারী শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

আজ রোববার(১০ই মে) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও বিপণীবিতাণগুলো পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম।

সকাল থেকেই শহরে বেড়ে যায় ছোট ছোট যানবাহন। চিরচেনা নাটোর শহর যেন আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। শহেরর মন্দির মার্কেট, সাদেক কমপ্লেক্স, উত্তরা সুপার মার্কেট, কাপুড়িয়াপট্টিসহ শহরের সব কয়টি মার্কেটের দোকানগুলো খুলেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাটে প্রবেশের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে দোকানিরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনা-কাটা করার জন্য বারবার হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।

দুপুরে জেলা শহরের সবচেয়ে ব্যবস্তত এলাকা নীবাবাজার ও স্টেশন বাজার রোজী মার্কেট পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক। এসময় বিভিন্ন বিপণী বিতান ঘুরে দেখেন ডিসি। এসব বিপণী বিতানে আগত ক্রেতাসাধারণকে সমাগম না করে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা শেষ করে ঘরে ফিরতে অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।

একই দিনে বড়াইগ্রামের বনপাড়া, গুরুদাসপুরের চাঁচকৈর, লালপুরের ত্রি মোহনী, বাগাতিপাড়ার মালঞ্চি, বিহারকোল, তমালতলা, সিংড়ার বাজার ও নলডাঙ্গা হাট এলাকার বিপনী বিতানগুলো পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

এদিকে, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে কেনাকাটাসহ জরুরী কাজে আগতদের ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে পুলিশকে। যারা নিজস্ব যানবাহন রয়েছে, শুধু তারাই শহরে প্রবেশ করতে পেরেছেন। অটোরিক্সা ও ভ্যানযোগে যারা শহরে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, তাদের আলাইপুর ওয়াবদা কলোনির সামনে থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

নাটোর জেলা জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভবেশ চক্রবর্তী ভক্ত জানান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ঈদ-উল-ফিতর পর্যন্ত জেলার সকল জুয়েলারী শোরুম ও কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, যে সকল শর্তে সীমিত পরিসরে দোকানপাট খোলা রাখার সরকারী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তা মেনে ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় পরিচালনা করছেন কি না, তা মনিটরিং করা হচ্ছে। সামাজিক দুরুত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সকলকে দোকানপাট খোলা ও ক্রয়-বিক্রয় করার অনুরোধ করছি। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *