নাটোরে অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও অগ্রিম বেতন নেয়ায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম॥
নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের প্রতিবাদে ও অবৈধ চুক্তিনামা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কলেজ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় জোনাইল ডিগ্রী কলেজের সামনে প্রধান সড়কে ছাত্র-ছাত্রীরা এক ঘন্টার মানববন্ধন করে এবং শেষে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে কলেজের অধ্যক্ষ আবু আসর মোহাম্মদ শফিউজ্জামান বিন্দুর স্বেচ্ছাচারিতা সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে বক্তব্য রাখেন ওই কলেজের আওয়ামী ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম আসাদ, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাজমুল হক, শাকিল আহম্মেদ, সাগর আহম্মেদ প্রমুখ।
এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ১হাজার টাকা অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভর্তির সময় ১ বছরের অগ্রীম বেতন নিয়ে ভর্তি করা হচ্ছে ফলে দরিদ্র পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করাতে অভিভাবকেরা হিমশিম খাচ্ছে। দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কম খরচে ভর্তির কোন সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। কলেজে ভর্তির শর্তাবলী ও চুক্তিনামার নামে স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের লক্ষে সাধারন ছাত্র-ছাত্রী, ছাত্রনেতা ও অভিভাবকদের সাথে আলোচনা না করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের মনগড়া নিয়মনীতি তৈরী করেছেন। সমাবেশে ছাত্রনেতারা দাবি করেন, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এসময় একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত ভর্তি ফি ফেরত দেয়ার দাবি জানানো হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন তোজাম জানান, কলেজের অধ্যক্ষ অন্যান্য কলেজের তুলনায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে এটা সত্য। এছাড়া ওই অধ্যক্ষ গত এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় বিষয়প্রতি প্রতি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে আদায় করেছে। এ টাকা কোন পরীক্ষার্থী দিতে অস্বীকার করলে তাকে ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে অধ্যক্ষ বিভিন্ন উপায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেছেন।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ আবু আছর মোহাম্মদ শফিউজ্জামান বিন্দু জানান, কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মতে কলেজ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন না। অধ্যক্ষ আরও বলেন, কয়েকজন ছাত্র নেতাদের সাথে কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় তাকে হেয় করার প্রয়াসে এ মানববন্ধন করা হয়েছে ও মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *