
চামারী ইউনিয়নের চকলংকা গ্রামের রবিজুল ইসলামের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, তার হিসাব নং ০৬১৯৩৪২১৯৭৭ , নতুন সংযোগ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার নতুন একটি বাড়ির তিনটি রুমে ৩টি বাল্ব জ্বলে আর ১টা ফ্যান ঘুরে, কিন্তু জুন মাসে বিল এসেছে ৭৮১ টাকা। তিনি বলেন, গত ২/৩ মাসেও ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা বিল এসেছিল।
পৌর শহরের দমদমা এলাকার মৌসুমী আক্তার লিজা বলেন, আমাদের বাসার বিল আসতো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কিন্তু গত দু’তিন মাস যাবৎ ১০০০ টাকার মত এসেছে। তিনি বলেন, এভাবে যদি ভুতড়ে বিলের মাধ্যমে আমাদের হয়রানি করা হয় তাহলে আমরা সাধারণ গ্রাহকেরা কোথায় যাব।
চকসিংড়া মহল্লার আবু জাফর বলেন, কয়েক মাস আগে পরিশোধ করা বিল পরের মাসে আবার তুলে দেয়, অফিসে এসে বললে পরবর্তীতে ঠিক করে দেয়। আমরা খুবই হয়রানীর শিকার হচ্ছি, দ্রুত হয়রানী বন্ধ করে সেবার মান বাড়ানোর দাবি করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এই ভুতড়ে বিলের কোনো সমাধান পায় না সাধারণ গ্রাহকেরা। দ্রুত এর প্রতিকার করা দরকার।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, সিংড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সুলতান উদ্দিন ভুতড়ে বিলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লোকবলের অভাবে আনুমানিক বিল লেখে দেয় বলে শুনেছি। উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কারণে লোকবলের অভাব রয়েছে। তাদেরকে বার বার বলা হয়েছে গ্রাহকরা যেন হয়রানীর শিকার না হয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সেবার মান বাড়ানোর জন্য।



