নাটোর-৩: ঝালমুড়ি বিক্রেতার মায়ের চোখে আলো ফিরিয়েছিলেন পলক!

নাটোর: নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগাছা গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন। পেশায় একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাদাম, ঝালমুড়ি বেঁচেই দিন গুজরান তার। বর্তমানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সিংড়া পৌর শহরের পানপট্টি মোড়ে চানাচুর-ঝাঁলমুড়ি মাখানো বিক্রি করেন তিনি।

প্রত্যন্ত তাজপুরের এই খেটে খাওয়া মানুষটি মনে করেন সিংড়াবাসীর জন্য জুনাইদ আহমেদ পলক আল্লাহর রহমত। জুনাইদ আহমেদ পলক সিংড়ার সাংসদ নির্বাচিত হবার পর থেকে দিন বদলেছে কামালের মত স্বল্প আয়ের মানুষদের। আগে যেখানে বাদাম বেঁচতে গেলেও দিনপ্রতি চাঁদা দিতে হতো, সেখানে এখন নিরাপদে কোন রকমের চাঁদাবাজি ছাড়াই ব্যবসা করছেন তিনি। ফলে ছোট্ট সংসার চলে যাচ্ছে ভালোভাবেই।

কামাল হোসেন জানালেন, কয়েকদিন আগেও তিনি চিন্তিত ছিলেন তার মা আনোয়ারা বেগমকে নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। স্বল্প আয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি মায়ের চিকিৎসা করানো অসম্ভব ছিলো। মায়ের কথা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন যখন, তখন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা তাকে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে দেখা করার পরামর্শ দেন। ওই নেতাই শেষ পর্যন্ত পলকের সাথে তার দেখা করিয়ে দেন। কাতরকন্ঠে মায়ের চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছেন না জানালে মায়ের সুচিকিৎসার আশ্বাস দেন পলক। পরে পলক তার মায়ের চোখের অপারেশনের সব ব্যবস্থা করে দেন। অপারেশনের পর মায়ের চোখের আলো ফিরেছে। মা এখন দেখতে পান। মা সুস্থ হওয়ায় আমরা সকলে এখন ভালো আছি।

পলকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই কামাল হোসেনের। তার মতে, পলকের ঋণ শোধ করার সামর্থ্য তার নেই। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পলককে সপরিবারে তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। কামালের ভাষ্য, বিল এলাকায় তার বাড়ি হবার কারণে প্রতিটি রাত আগে তাদের নিরাপত্তাহীনতায় কেটেছে চোর ও ডাকাতের ভয়ে। তখন পালা করে রাত জেগে পুরুষদের পাহারা দিতে হতো। কিন্ত এখন তারা নিরাপদে আছেন, নিশ্চিন্তে আছেন।

কামাল হোসেনের কাছে প্রশ্ন ছিল- প্রতিমন্ত্রী পলকের কাছে তার কিছু চাওয়া আছে কি না। উত্তরে, তিনি ঝালমুড়ি বিক্রির জন্য গাড়ির চেয়েছেন। কারণ এই ব্যবসাতেই তার সংসার চলে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *