নাটোরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে অর্থ নেয়ার অভিযোগ

নাটোর অফিস॥
নাটোরের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে, সরকারি সুবিধা দেওয়ার নামে, অনৈতিকভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্য মারুফ মন্ডল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে- আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ী, ভিজিটি ও টিসিবির কার্ড পাওয়ার জন্য, ইউপি সদস্যের নগদ টাকার দাবি পূরণ করলেও, সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায়, প্রধানকৃত অর্থ ফেরত চাইলে, হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছেন। তবে অর্থ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন ইউপি সদস্য। আর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা প্রশাসন বলছেন বিষয়টি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মমিনপুর গ্রামের ভূমিহীন প্রতিবন্ধী আছের মৃধা। একযুগ আগে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পায়ে ঘাঁ হয়। ঘাঁ থেকে ইনফেকশন। কেটে ফেলতে হয় দুই পা। বর্তমানে সরকারি রাস্তার পাশে কোন রকমে একটি ঝুপড়িতে বসবাস করেন।

আর ভিক্ষা করেই জীবন যাপন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয় প্রকল্পের একটি ঘরের জন্য ইউপি সদস্য মারুফ মন্ডল‘এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ৫হাজার টাকা দাবি করেন ইউপি সদস্য। ভিক্ষা করে ৩ হাজার টাকা দিলেও আজ অব্দি মেলেনি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর।
শুধু প্রতবিন্ধী আছের মৃধাই নয়, অত্র ওয়ার্ডের অতি দরিদ্র আশরাফুল, রহিমা, সাহিদা, আনজুয়ারা, মর্জিনা, শাবানা সহ প্রায় ৩৫ জনের নিকট থেকে সরকারি সুবিধা দেওয়ার নামে, ২ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন ইউপি সদস্য মারুফ মন্ডল। বছর পেরিয়ে গেলেও কোন সুবিধা না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
ইতিপূর্বেও এই ওয়ার্ডে, সরকারি সুবিধা দেওয়ার কথা বলে, অনেকের কাছ থেকেই অর্থ নিয়েছিলেন, অভিযুক্ত এই ইউপি সদস্য। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ইউপি সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি, ভুক্তভোগীদের। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জানান।
নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মারুফ মন্ডল, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দেওয়ান আকরামুল হক বলেন,“ভুক্তভোগীরাদের অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *