
নাটোর-বাগাতিপাড়া সড়কে খানা-খন্দ সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারনকে দুভোর্গ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই সড়কটির ৪ কিলোমিটার অংশ কয়েক বছর আগে খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়। সড়কের দুধারের পাকা অংশ সহ বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে করে এই পতে চলাচলকারী যানবাহনকে প্রায় ছোট খাটো দুঘৃটনার শিকারে পড়তে হয়। এই পথ দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারনকে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়, নাটোর সদর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার মধ্যেকার সংযোগ সড়কের দুরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এরমধ্যে নাটোর সদর উপজেলার অংশ রয়েছে প্রায় ৪ কিলোমিটার। বিগত বছরগুলোর বৃষ্টিপাতের কারনে নাটোরের অংশের ৪ কিলোমিটার সড়কের দুধারে ভেঙ্গে যায়। ওই ভাঙ্গা অংশের কার্পেটিং ধীরে ধীরে উঠে যেতে থাকে। এছাড়া কিছু কিছু স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। যানবাহন চলাচলের কারনে সেসব ভাঙ্গন বড় হয়ে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু দির্গদিনেও সড়কটি মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। তবে এই সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হলেও তমালতলা হয়ে বাগাতিপাড়া যাওয়ার সড়কটি বিকল্প সড়ক হিসাবে চলাচলের গুরুত্ব বেড়ে। স্থানীয়রা জানায় তমালতলা সড়ক দিয়ে 
এদিকে খানা-খন্দ সৃষ্টি হওয়া সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সদর উপজেলার রামনগর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও টেটনপাড়া গ্রামের মিনহাজ ও বুড়ির বটতলা এলাকার শাহিন জানান, প্রায় ৫ বছর আগে সড়কটি খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়। এই সড়ক দিয়ে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ নাটোর জেলা সদর বা বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। যারা এই সড়কের ধারে বসবাস করেন এসব গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগ নিয়েই এই পথে চলতে হয়। সদর উপজেলার ইয়াছিনপুর,টেটনপাড়া,কোয়ালিপাড়া,শ্রীকৃষ্ণপুর,বুড়ির বটতলা,রামনগর,রামেশ্বরপুরসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষদের দুভোগ এখন নিত্যদিনের।

নাটোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, সড়কটি বিদেশী প্রজেক্টের আওতায় পুননির্মানের জন্য একটি প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট উর্ধতন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রজেক্টটি পাশ হলে সড়কের ভাঙ্গা অংশ পুনঃনির্মান কাজ শুরু করা হবে।



