পরিবহন ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার

নাটোর অফিস ॥
নাটোরে নুর ইসলাম (৫১) নামে এক পরিবহন ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামী এক ট্রাক চালককে দিনাজপুরের দশ মাইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে মোঃ লাবু (২৪) নামে ওই ট্রাক চালককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত লাবু পঞ্চগড় জেলা সদরের জাবুরীদোয়ার এলাকার হাসিবুল ইসলামের ছেলে এবং নিহত নুর ইসলামের ট্রাকের চালক।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ অক্টোর ভোরে নাটোর-বগুড়া মহসড়কের জামতলি এলাকায় সড়কের ধার থেকে মাথায় বিভিন্ন জায়গায় জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তির সহায়তায় মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করা হয়। মৃত ওই ব্যক্তি নুর ইসলাম পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া থানার বাবুয়ানী গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে।
নাটোর পুলিশ সুপারের অফিস থেকে প্রেরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় নিহত নুর ইসলাম নিজের ট্রাকে হেলপার হিসেবে কাজ করেন। ১২ অক্টোবর নুর ইসলাম হেলপার হিসেবে ট্রাকে যাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি হতে বের হন। পরিবহন সেক্টরে কাজ করার কারণে সে নিয়মিত বাসায় ফিরত না। তবে স্ত্রীর সঙ্গে তার ফোনে যোগাযোগ ছিল। ২২ অক্টোবর ভোরেসিংড়ার জামতলি এলাকা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধারের পর নিহতের বড় ভাই বছির উদ্দিন বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত লাবু সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলা দায়েরের পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রধান আসামী চালক লাবুকে দিনাজপুরের দশ মাইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামী লাবু ভিকটিম নুর ইসলামকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং তার সহযোগীরা মিলে ভিকটিককে প্রথমে শ্বাসরোধ করে। পরে ট্রাকের লিভার দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। ভিকটিম নুর ইসলাম নিজের ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ করে, ঘটনার দিন রাতে ভিকটিম ও ট্রাক চালক লাবু দিনাজপুর ফুলবাড়ি থেকে পাথর নিয়ে শেরপুরের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। পথিমধ্যে ট্রাক চালক লাবু ও তার সহযোগীদের দিনাজপুরের বিরামপুর এলাকা থেকে পূর্ব থেকেই যোগাযোগ করে ট্রাকে উঠিয়ে নেয়। আসামীরা পরষ্পরের সহযোগিতায় ভিকটিম নুর ইসলামকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ট্রাকের লিভার দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সিংড়া উপজেলার নাটোর -বগুড়া মহাসড়কের জামতলি এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *