নাটোর অফিস ॥
আদালতের দেয়া তদন্তভার নিজে দায়িত্ব পালন না করায় আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে নাটোরের তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধানকে দুই ঘন্টার হাজত বাস করার আদেশ দেন আদালত। বুধবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম গোলজার রহমান এই হাজতবাস করার নির্দেশ দেন। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁ করিয়ে রেখে এই সাজা দেয়া হয়। তবে ঘন্টাখানেক পর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। নাটোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারি আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর আমলী আদালতে তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জেবা খাতুন বাদি হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবীর অভিযোগে মামলা করেন। আদালত ওই ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু দায়িত্ব নিজে পালন না করে ইউপি সচিবকে দিয়ে কাজটি করান চেয়ারম্যান। ইউপি সচিব প্রতিবেদন দিলে তাতে অনেক ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ওই বিষয়ে চেয়ারম্যানকে তলব করেন আদালত। আদালতের প্রশ্নের জবাবে সচিবকে দিয়ে কাজ করানোর কথা স্বীকার করলে আদালত চেয়ারম্যানকে শাস্তি হিসেবে ২ ঘণ্টা হাজত বাস করার আদেশ দেন।আদালতের নির্দেশের পর ইউপি চেয়ারম্যানকে ২ ঘন্টা কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। অবশ্য ঘন্টাখানেক পর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আদালত তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধানকে দুই ঘন্টা হাজতবাস করার নির্দেশ দিলে খবরটি দ্রুত নাটোর শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক মানুষ বিষয়টি স্বচক্ষে দেখতে আদালতে ছুটে যান। এ সময় সাধারণ মানুষ বলতে থাকেন, আজকের বিষয়টি অন্য সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের জন্য অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।