শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সাথে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে- পলক

নাটোর অফিস ॥
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সাথে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত, আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর মেধাভিত্তিক অর্থনীতির সমৃদ্ধ দেশের লক্ষ্য অর্জনের কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহনের কোন বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার সিংড়া উপজেলা হলরুমে সিংড়া উপজেলা,পৌর ও ১২টি ইউনিয়নের ১২০টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন , বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত রেখে স্বাধীনতা উপহার দিয়ে গেছেন। আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই সিংড়ার মাটিতে উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করতে। কিন্তু কোন জনপ্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা নিয়ে দুর্নীতি করলে সতর্ক নয় সরাসরি শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি এলাকায় সকল উন্নয়ন সততার সহিত করার চেষ্টা করি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি বা লিখিত ভাবে জানাবেন। তাহলেই ভুল সংশোধনের সুযোগ পাব। সভায় প্রতিমন্ত্রী সিংড়া উপজেলার এলাকা ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক উন্নয়নকে আরো গতিশীল করতে নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে লিখিত পরামর্শ গ্রহন করেন এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে জনমত গঠনে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সভায় প্রতিমন্ত্রী পলক তার বক্তৃতায় অরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে জননেত্রী শেখ হাসিনা মেধা, সততা আর সাহসিকতা দিয়ে শ্রম নির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। মাত্র ১৩ বছরে তিনি স্বল্পোন্নত বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। তিনি উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের ভাগ্যহৃত মানুষের জন্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠিকে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করছেন। দেশে কোন পরিবার আর গৃহহীন থাকবে না। আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী পরিবারগুলো বসতবাড়ি পেয়ে আতœকর্মী হয়ে উঠেছেন। ওই পরিবারগুলো এখন সুখী-সমৃদ্ধ পরিবার। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে জাতির ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। তিনি আমাদের বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের মধ্যে ১৪ বছর কেটেছে কারাগারে। ২৪ বছর তিনি এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত রেখে স্বাধীনতা উপহার দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর সাড়ে তিন বছর তিনি দেশ সেবার সুযোগ পেয়ে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার শক্তিশালী ভিত্তি রচনা করেন। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা না করলে অনেক আগেই দেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যেত। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সময়ে এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসিত করা হয়। ঐ সময়ে দেশের উন্নয়ন তো দূরের কথা, জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয় দেশ। মানুষের কোন নিরাপত্তা ছিলো না ওই সময়ে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়, দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমানের সভাপতিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *