গুরুদাসপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে কৃষক খুন

নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে কাশেম আলী (৩৫) নামের এক যুবককে ধারালো ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে কেনাল আলী নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক কাশেম আলী নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের সাইদ আলীর ছেলে। অভিযুক্ত কেনাল আলী পাশ্ববর্তী গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত-রজব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, কাশেম আলীর কাছে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিল কেনাল আলী। করোনার সময় বিদেশ না যেতে পেরে কিছু টাকা ফেরৎ নেয় কাশেমের কাছ থেকে কেনাল। বাকি ৮০ হাজার টাকা বকেয়া ছিল। সেই টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা কাশেম কেনালকে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু কেনালের কাছে কাশেমের চেক রাখা ছিলো। টাকা দেওয়ার সময় কেনালের কাছে চেক ফেরৎ চায় কাশেম। এসময় চেক হারিয়ে গেছে বলে জানায় কেনাল। যার কারনে টাকা দিতে অস্বীকার করে কাশেম। তাদের মধ্যে এই বিষয়ে বিরোধ বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসছিল। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নাজিরপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কাশেম। নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে পৌছালে কাশেমকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। কাশেম রাস্তায় পরে গেলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে কেনাল। পরে কাশেমের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কাশেমের বড় ভাই বলেন, কাশেম দীর্ঘ ৭ বছর ইরাকে ছিল। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে কৃষি কাজ করে সংসার চালায়। কাশেমের এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। কেনাল যে টাকা পাওনা ছিল কাশেম দিতে চেয়েছে। তারপরও কেনাল কাশেমকে নির্মম ভাবে হত্যা করলো। তিনি কেনালের ফাঁসির দাবি জানান।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল মতিন জানান, ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়ে আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালোনো হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপরাধীকে গ্রেফতার করতে স্বক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *