
সোমবার সকলকে চমকে দিয়ে এই চার নেতা একই মঞ্চে দাঁড়িয়েছেন। লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যৌথ আয়োজনে লালপুরের ধুপইল ও বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুরে করোনা মোকাবেলায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে অংশ নেন তারা।
জানা যায়, ২০১৯ সালে নাটোর-১ আসনের পরিবর্তিত রাজনৈতিক দৃশ্যপট এই চার নেতাকে ঐক্যবদ্ধ করতে ভীষণভাবে সহায়তা করেছে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে শহিদুল ইসলাম বকুল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহাক আলী ছাড়া বাকী তিন নেতা দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। ওই তিন নেতাই ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায়। তবে লালপুরে মনোনয়ন পান সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের ভগ্নিপতি ইছাহাক আলী এবং বিজয়ী হন। অপরদিকে বাগাতিপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও ছোটভাই অহিদুল ইসলাম গকুল দলীয় প্রার্থী সেকেন্দার রহমানকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইছাহাক আলী চেয়ারম্যান হবার পর লালপুরে কোণঠাসা হন আফতাব হোসেন ঝুলফু এবং বাগাতিপাড়ায় আবুল হোসেন ও সেকেন্দার রহমান।

এদিকে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মসূচী পালনে চার নেতাকে পেয়ে খুশি দলের নেতাকর্মীরা।
বাগাতিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক শিহাব মাহমুদ বলেন, চার শীর্ষ নেতা একমঞ্চে দাঁড়িয়ে আমাদের উৎসাহিত করেছেন। আমরা এখন নতুন উদ্যমে দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহন ও তা সফল করবো।
লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নাই। আমরা মনে করি আমরা সকলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। আগামীতেও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় কর্মসূচী পালন করবো।’
বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে। ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে সম্পর্কে বৈরিতা থাকতেই পারে। কিন্ত দলীয় স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ। লালপুর-বাগাতিপাড়ায় আওয়ামী লীগের শেকড় হবে সবচেয়ে বেশী বিস্তৃত। সকল নেতাকর্মীকে বলবো এখন থেকে সব বিভেদ ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় কর্মসূচী পালন করবো।’



