
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৪ই জুলাই রাতে ঢাকা থেকে ইলেকট্রিনিক্স পণ্যের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাসযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছিলেন। বাসটি সিরাজগঞ্জে পৌছালে পাশের সিটে বসা শরিফা আক্তার সাথীর সাথে প্রথমে পরিচয় এবং পরে সেলফোনে যোগাযোগের নম্বর আদান প্রদান হয় তাদের। পরদিন ঢাকায় ফেরার পথে শরিফা আক্তার সাথী ব্যবসায়ী মিজানুরকে ফোন করে নাটোরে তার বাড়ি হয়ে ঢাকায় যেতে প্রস্তাব দেন। মিজানুর রাজী হলে তাকে সিএনজিযোগে নাটোর শহর থেকে ফুলস্বর গ্রামের কানু সরকারের ছেলে জমির উদ্দিন সরকারের বাড়িতে নিয়ে যায় সাথী। বাড়িতে পৌছানোর পর পূর্ব পরিকল্পনামতো মতো সাথীর সহযোগিরা ব্যবসায়ী মিজানুর খারাপ কাজের অপবাদ দিয়ে মারপিট করাে এবং প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন বিকাশ নম্বরে দুইলাখ দশ হাজার টাকা আদায় করে। টাকা আদায়ের পর সিএনজিযোগে মিজানুর রহমানকে বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুরে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘এ ঘটনায় মিজানুর রহমান মামলা দায়ের করলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বুধবার সকালে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিএনজিসহ আবুল হোসেন, শরিফা আক্তার সাথী, ফারুক, হোসেন আলী ও নজুকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করেছে।’
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনারুল ইসলামসহ অন্যনরা।



