নাটোরের সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামের ইন্তেকাল

নাটোর অফিস॥
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, নাটোর-বাগাতিপাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস, কিডনী সমস্যায় ভুগছিলেন। সর্বশেষ ব্রেইন স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ্য ছিলেন। শহরের পটুয়াপাড়া এলাকায় নিজ বাসভবনে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গত ৫ মে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার(১০ই মে) বেলা ৪টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বাদ মাগরিব তাদের গ্রামের বাড়ি নলডাঙ্গার ছাতারভাগে (ডাকাতিভিটা) প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সেখান থেকে শহরের দক্ষিন পটুয়াপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এশা ও তারবী নামাজ শেষে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে গাড়ীখানা গোরস্থানে দাফন করা হবে।

সাবেক এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-৪ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-২(সদর) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ আসনের এমপি শহিদুল ইসরাম বকুল, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, সাবেক এমপি ও জেলা জাতীয়পাটির সভাপতি মজিবুর রহমান সেন্টু, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সভাপতি নবীউর রহমান পিপলু প্রমুখ।

সাইফুল ইসলাম ১৯৭২ সালের নির্বাচনে নাটোর সদর ও বাগাতিপাড়া আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন :

১৯৬০ সালে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

১৯৬৩ সালে রাজশাহী কলেজ ছাত্র-সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।

১৯৬৫ সালে বৃহত্তর রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হন।

১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থান ও ছয় দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

১৯৭৩ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১ম জাতীয় সংসদের (সর্বকনিষ্ঠ) এমপি নির্বাচিত হন।

পরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছেন। এছাড়া রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অবদান রেখেছেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় নলডাঙ্গা থানা, নলডাঙ্গা শহীদ নজমুল হক ডিগ্রি কলেজ, নলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, সোনাপাতিল-নলডাঙ্গা মহিলা কলেজ, নলডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ছাতার ভাগ উচ্চ বিদ্যালয়সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। নলডাঙ্গা উপজেলা বাস্তবায়নসহ নলডাঙ্গার উন্নয়নের অগ্রনায়ক ছিলেন তিনি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *