
শনিবার(১৯শে অক্টোবর) বিকেলে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় বকুলকে সতর্ক করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয় যে ভাই-ভাতিজা সবাইকে ঠাঁই দিতে হবে। এভাবে চললে একসময় দলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। দলের বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা দলে থাকতে পারবে না আর মদদ দাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু বকুলের উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদানের ভিত্তি কি তা সম্পর্কে অবগত হবার পরও আপনি নিজেকে সংশোধন করছেন না। দু:সংবাদ অপেক্ষা করছে। নাটোর-১ আসনের সাবেক সাংসদ আবুল কালামকে ছোট্ট একটা ভুলের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়নি। আপনি বকুল সতর্ক হয়ে যান, হয়তো আপনার জন্য এর চেয়ে খারাপ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
এ ব্যাপারে সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তার সুপারিশ করেছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা; যাদেরকে স্থানীয় মানুষ পছন্দ করে না। তার ও আপন ভাই গকুলের এলাকায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে সুনাম ও জনপ্রিয়তা রয়েছে।
বকুল দাবী করেন, তিনি নির্বাচনে ভাই গকুলের পক্ষে কোনও কাজ করেননি। গকুল তার নিজ যোগ্যতায় নির্বাচিত হয়েছে।



