
ভোট দিয়ে ফিরে যাবার পথে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে। প্রতিবেদক ভোট দেয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত দিনে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে তিনি নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এবার অন্যদের কাছে শুনে সে অবস্থা না থাকায় ছুটে এসেছেন ভোটকেন্দ্র। এসে দেখেন পরিবেশ সুন্দর। তাকে দেখে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসেন মহিলা আনসার সদস্যরা এবং ভোটদানের ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরো বলেন, চার বোন আর এক ভাইয়ের সংসারে তিনিই বড়। একমাত্র ভাই সবার ছোট। নিজের টিউশনি ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ ছোট ভাইয়ের উপার্জনে চলে তাদের সংসার। তিনি যখন দশম শ্রণির ছাত্রী তখন বাবা নাসের আলী মাঝি মারা যান। শুরু হয় সংসারে অভাব অনটন আর বন্ধ হয়ে যায় লেখাপড়া। তখন থেকেই শুরু হয় জীবনের অন্যরকম সংগ্রাম। তাই সব সময় ঝামেলা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন তিনি।বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট দিতে এসে ফিরে গেছেন তিনি। তবে এবার স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পেরে খুশি তিনি।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সাইদুর রহমান জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হওয়ায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী অনেকেই এবার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্বাচনে পরিবেশ শান্তিপূর্ণ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যার ফলশ্রুতিতে ভোটাররা নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।



