নাটোর অফিস।।
নাটোরের সিংড়ায় শুকাস ইউনিয়নের বামিহাল বিএনপির অফিস থেকে অস্ত্রসহ এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার রাতে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে দেশিও অস্ত্রসহ বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ (৫৫) কে আটক করেন। আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ বামিহাল গ্রামের মৃত খোকা আকন্দের ছেলে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি।
জানা যায়, ৫ আগষ্ট আ’লীগ সরকার পতনের পর আব্দুল কুদ্দুস বামিহাল বাজারে তার নিজস্ব মার্কেটের নিচে বিএনপির দলীয় কার্যালয় তৈরি করেন। গরে তোলেন এলাকায় নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। এলাকায় ভুমি দখল, পুকুর দখল, চাঁদাবাজি, হত্যার উদ্দেশ্য মারধরসহ নানা অপকর্ম করে আসছিলেন। হত্যা, ধর্ষন, মাদক, চাঁদাবাজিসহ ওয়ারেন্টভুক্ত ১২ মামলার আসামী আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত। ৫ আগষ্ট পরে তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক বামিহাল অনার্স কলেজের প্রভাষক আব্দুল হান্নান সরদার, যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নুরনবী। গত ৩ সেপ্টেম্বও ২৪ তারিখে বামিহাল বাজারে রাত্রি ৮ টায় হত্যার উদ্দেশ্য ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক হান্নান সরদারকে হাতুরি দিয়ে পিটে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় কুদ্দুস বাহিনী। পরে হান্নান সরদার বাদি হয়ে মামলা করলেও ধোরা ছোয়ার বাহিরে থাকেন কুদ্দুস আকন্দ। ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধানর সম্পাদক নুরনবীকে ১৪ মার্চ ২৫ তারিখে সন্ধায় প্রকাশ্য দিবালোকে বামিহাল বাজারে লোহার রড হাতুরি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে জখম করে। নুরনবী থানায় মামলা দায়ের করলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার করেনী থানা পুলিশ। এর আগে ২০০৩ সালে বামিহাল গ্রামের শাজাহান হত্যা মামলার আসামী আব্দুল কুদ্দুস, চাাঁদা দাবি করে বামিহাল গ্রামের আফজালকে কোপানোর মামলার আসামী আব্দুল কুদ্দুস। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেন ২০১৩ সালে। বামিহাল গ্রামের আত্তাব আলীকে হত্যার উদ্দেশে হামলার ঘটনায় ২০১২ সালে মামলা। বামিহাল গ্রামের আব্দুল গফুরের বাড়িতে হামলা করে হত্যার উদ্দেশে মামলা চলমান। ২০০৮ সালে বামিহাল গ্রামের আনসার আলী হত্যা মামলার ২ নং আসামী আব্দুল কুদ্দুস। বিয়াশ গ্রামের জজকে বামিহাল বাজারে হত্যা মামলার আসামী আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ। ২০২৩ সালে আত্তাব হত্যা মামলার ২ নং আসামী।
আব্দুল কুদ্দুসের হামলায় আহত বিএনপি নেতা প্রভাষক হান্নান সরদার বলেন, আব্দুল কুদ্দুস সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার জন্য নিজ নামে দলীয় কার্যালয় তৈরি করে সেখান থেকে বিএনপি সহ সাধারন মানুষকে নির্যাতন করত এই ঘরে তুলে। চাঁদাবাজি, পুকুর দখল সহ জাবতীয় অপকর্ম করত এই ঘরে বসে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে। আমাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। প্রানভয়ে কলেজে পর্যন্ত যেতে পারি না।
সিংড়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান আছে। রবিবার রাতে সেনাবাহিনীর অভিযান করে দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা রুজু করা হয়েছে।