নাটোর অফিস।।
আজ সোমবার ৫ মে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকসেনা ও তাদের দোসর রাজাকাররা নর্থবেঙ্গল সুগার মিলে ঢুকে জরুরি মিটিংয়ের কথা বলে মিলের বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিক কর্মচারীদের চিনিকলের উত্তরে ১নং ফটকে ডেকে নেয়। পরে তারা অস্ত্রের মুখে নিরস্ত্র শ্রমিক কর্মচারীদের চিনিকলের অভ্যন্তরে গোপাল পুকুর পাড়ে নিয়ে মিলের তৎকালীন প্রশাসক জিএম লেফট্যানেন্ট আনোয়ারুল আজিমসহ মিলের অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্রাশ ফায়ার করে ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এলাকাবাসী জানায়, ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ লালপুর উপজেলার ময়নার যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনী পরাজিত হয়। ওই যুদ্ধে মেজর রাজা ইসলামসহ কয়েকজন পাক বাহিনীর সদস্য নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই রাজাকারদের সহায়তায় পাক সেনারা চিনিকলটিতে এই হত্যা হত্যাযজ্ঞ চালায়।
স্বাধীনতার পর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ওই পুকুরের নামকরন করা হয় শহীদ সাগর। আর লেফট্যান্যান্ট আনোয়ারুল আজিমের নামে গোপালপুর রেল স্টেশনটির নামকরণ করা হয় আজিমনগর। এছাড়াও নির্মাণ করেন স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিতে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের শহীদ সাগর চত্বরে ৫ মে গণহত্যা সিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এবারও দিনটি উপলক্ষে সুগার মিলের শহীদ সাগর স্মৃতিস্তম্ভে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে মিল কর্তৃপক্ষ।