মহাসড়কের ৩ কি.মি. জুড়ে সয়াবিন তেল!

নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে সিমেন্টবাহী ও সয়াবিন তেলের কন্টেইনারবাহী ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকের কন্টেইনার থেকে সয়াবিন তেল নির্গত হয়ে সড়কে পড়তে থাকে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত ওই কন্টেইনার ট্রাকটি রেকারের মাধ্যমে বনপাড়া হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হাইওয়ে থানা পর্যন্ত ৩ কি.মি. মহাসড়ক জুড়ে কন্টেইনারের ৫ হাজার লিটার তেল ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে পড়ে এবং সে সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেলসহ অর্ধশতাধিক যান দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন নারী-পুরুষ আহত হয়। আহতদের বনপাড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ সময় দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ডভ্যান থেকে তেল পড়তে থাকায় হরিলুটের ঘটনাও ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্যাংকার থেকে ঝড়ে পড়া তেল নিতে স্থানীয়দের মধ্যেো প্রতিযোগীতা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে বনপাড়া-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার বনপাড়া মহিষভাঙ্গা এলাকায় ওই দুই ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটে। মহাসড়কের ৩ কি.মি. তেল ছড়িয়ে পড়ার ৩ ঘন্টা পর পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনের ব্যবস্থাপনায় বালু ছিটিয়ে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হয়।
বনপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মৃধা জানান, হাইওয়ে থানা পুলিশের উচিত ছিলো তেল নির্গত শেষ হওয়ার পর কন্টেইনারবাহী ট্রাকটি থানায় নিয়ে যাওয়া। এতে সড়কের এই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হতো না এবং দুর্ঘটনায় এতো মানুষ আহতও হতো না।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আলিমুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে নাটোরগামী সিমেন্ট ভর্তি ট্রাকটিকে ওভারটেক করার সময় পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয় তেলভর্তি কন্টেইনারবাহী ট্রাক। এতে কিছুটা মুচড়ে যায় ট্রাকটির সামনের অংশ এবং কন্টেইনারের ডান দিকের অংশ। তেল ছড়িয়ে পড়ে সড়ক জুড়ে। স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছুটে আসে ট্রাকটির কাছে। বোতল, বালতি, পলিথিন সহ বিভিন্ন ধরনের পাত্র নিয়ে তেল নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তারা।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান,  হাইওয়ে থানার উদ্যোগে মহাসড়কে দুই তরফায় বালু ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তেলবাহী ওই কন্টেইনার ট্রাকটি নাটোরে অবস্থিত প্রাণ কোম্পানির চিপস্ ফ্যাক্টরীতে যাচ্ছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *