টর্চ জালিয়ে পথ চলতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হলো শিশু নবীন

নাটোর অফিস॥
রাতে টর্চ জালিয়ে সাপ-পোকা মাকড় থেকে নিরাপদে পথ চলতে গিয়েও শেষ রক্ষা পায়নি নবীন নামের ১২ বছরের শিশু। এলাকার রুবেল নামে প্রভাবশালী এক ব্যক্তির চোখে টর্চের আলো পড়ায় নির্যাতনের শিকার হতে হয় ওই কোমলমতি শিশুকে। প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি কর্ম করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নিংগইন গ্রামে। নবীন হোসেন সিংড়া উপজেলার নিংগইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী এবং নিংগইন গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
রির্যাতিত শিশুর পরিবার সুত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নিংগইন বাজারে সদাই কিনতে নবীন হোসেন টর্চলাইট হাতে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। সাপ-পোকা মাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য টর্চ জালিয়ে পথ চলছিল নবীন। পথের মধ্যে প্রতিবেশি বেল্লাল সরদারের ছেলে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্য়ালয়ের পাটটাইম চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রাসেল সরদারের চোখে টর্চ লাটের আলো পড়ে। এতে ক্ষুদ্ধ হন তিনি এবং তার চোখে কেন টর্চ জ্বালানো হলো এমন অভিযোগ তুলে শিশু নবীনকে বেধড়ক মারপিট করেন রাসেল। তার নির্মম ও অমানুষিক নির্যাতনে আহত নবীন সঙ্গা হারালে তাকে রাস্তার পার্শে গর্তে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে মা আশেদা বেগম ছুটে গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এবিষয়ে আহত শিশু নবীনের মা দিমুজুরি করা আশেদা বেগম বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রাসেল সরদারের ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
নির্যতনের স্বীকার শিশু নবীনের মা আশেদা বেগম বলেন, ছেলেকে বাজার থেকে সদাই নিতে পাঠালে পথের মধ্যে রাসেল সরদার চোখে টর্চ লাইট ধরার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে টর্চ লাইট কেড়ে নিয়ে বেধরক মারপিট করে অচেতন অবস্থায় রাস্তারর্ ফেলে রাখে। আমরা গরিব মানুষ পরের বাসায় কাজ করি, আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার দাবি করছি বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
সিংড়া থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, অভিযুক্ত রাসেল সরদার আমার অফিসের পাটটাইম চুক্তিভিত্তিক ভাবে কাজ করে। শিশু নির্যাতনের খবর পাওয়ার সাথে সাথে তাকে তার দপ্তরের সকল কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *