নাটোর অফিস ॥
নাটোরে ঠিকাদরী কাজের টাকা ভাগাভাগী নিয়ে নাটোর পৌরসভা চত্ত্বরে যুবলীগ নেতা হাসানুর রহমান হাসু ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো গ্রুপের সংঘর্ষে সিহাব হোসেন শিশির (৩০) নামে একজন নিহত হয়। এ সময় হাসানুর রহমান হাসু গ্রুপের হাসু (৪০) আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিল রোকনুজ্জামান হিরো এবং ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে নাটোর পৌরসভা চত্ত্বরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সিহাব হোসেন শিশির শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মোজাহার আলীর ছেলে ও কাউন্সিলর হিরোর সমর্থক।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে পৌরসভার ভিতরে হত্যাকান্ডের খবর শুনে আমি পৌরসভা এবং হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, পৌরসভার দ্বিতীয় তলায় ঠিকাদারীর কাজের টাকা ভাগাভাগী নিয়ে কাউন্সিলর হিরো ও হাসুসহ দুই গ্রুপের কয়েকজনকে নিয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী আলোচনা করছিলো। এ সময় পৌরসভা চত্তরে দুই গ্রুপের তাদের সমর্থকদের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। মীমাংসার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো ও হাসু সেই স্থান ত্যাগ করেন। তারা পৌরসভা চত্বরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন । এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে হামলা পাল্টা হামলা হলে ঘটনাস্থলে শিশির গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহত শিশিরকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো ও আহত যুবলীগ নেতা হাসুকেও পুলিশ আটক করে চিকিৎসাধীন রেখেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত বাঁকীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জানান, ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য আমি এবং আমার কাউন্সিলররা একসঙ্গে বসে ছিলাম। কিন্তু উভয় পক্ষই আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে না নেয়ায় তাদের পৌরসভার ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দিই। পরে বাইরে বের হয়ে গিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সময় আমি আমার অফিস রুমের ভিতরে ছিলাম। সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনটাই প্রত্যাশা করি আমি।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান ঘটনার কথা আমি শুনেছি। পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের পরামর্শ দিয়েছি।