নাশকতার পৃথক মামলায় ১১ বিএনপি নেতা-কর্মী কারাগারে

নাটোর অফিস ॥
নাটোরে নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুটি মামলায় লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার বিএনপির ১১ জন নেতা কর্মিকে কারাগারে প্রেরন করেছেন আদালত। মামলার অভিযুক্তরা গত ১৯ ফেব্রুয়ারী নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণুর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক আজ বৃহস্পতিবার শুনানীর দিন ধার্য করেন। শুনানী শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২৯ অক্টোবর জেলার লালপুরে ৫জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৫জনের বিরুদ্ধে এবং একই দিন বাগাতিপাড়া থানায় বিস্ফোরক সহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। ওই মামলার অভিযুক্তরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিল। অভিযুক্তরা গত ১৯ ফেব্রুয়ারী নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক আজ ২২ ফেব্রুয়ারী শুনানীর দিন ধার্য করেন। শুনানী শেষে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, লালপুর ও বাগাতিপাড়ায় দুটি মিথ্যা মামলায় দুই উপজেলার বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আসামী করা হয়। ওই মামলা দায়েরের পর হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন সকলেই। গত ২০ ফেব্রুয়ারী তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিন নাটোর আদালতে হাজির হয়ে নতুন করে জামিনের আবেদন জানান তারা। আদালত তাদের জামিন প্রার্থনা না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় যাদের আসামী করে কারাগরে প্রেরন করা হয়েছে তারা হলেন বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন,সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান,যুগ্ম আহবায়ক নেকবর হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন মিঠু, থানা যুবদলের আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ দুলাল ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু রায়হান এবং লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোলাম,এবি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবেদ আলী মন্ডল,বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মেহেদী হাসান আরিফ ও গোপালপুর পৌর ছাত্রদল আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মাফি।
এদিকে আসামী পক্ষে শুনানীতে অংশ নেয়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ফারজানা পারভিন পুতুল বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই নতুন করে জামিনের আবেদন জানানো হয়। বিচারক দু’দিন পর শুনানীর দিন ধার্য করে কালক্ষেপন করেছেন। পৃথক এই দুটি মামলায় ইতিপুর্বে প্রায় ১৭ জনকে নিন্ম আদালত থেকে জামিন দেয়া হয়েছে। যে ১১জন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন তাদেরই পরবর্তী জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অথচ মামলায় কারো কোন পার্ট প্লে উল্লেখ নাই। একটি গদবাধা মামলা এটি। শুধু মাত্র হয়রানি করার জন্যই এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। আজকের এই আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে যাবেন এবং জামিন পাবেন বলে মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *