লালপুরে আ’লীগ নেতা হত্যা মামলার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার

নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গনি প্রামাণিককে প্রকাশ্যে হাত ও পায়ের রগ কেটে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহানামীয় ৫নং আসামী মো. সাইফুল ইসলামকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যায় লালপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকে এজাহারনামীয় ৫নং আসামী মো. সাইফুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সিলান গ্রামের সাত্তার প্রামানিকের ছেলে। সাইফুল ইসলাম কে দিয়ে এই মামলার মোট ৬জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের আটকে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
নিহত ওসমানের বাড়ি কদিমচিলান ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া চিলান গ্রামে। তিনি একই এলাকার আখের উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের সমর্থক এবং কদিমচিলান ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ডাঙ্গাপাড়া চিলান মোড়ে ওসমান গনিকে ঘিরে ধরে প্রতিপক্ষের ১০-১৫ জন প্রথমে হাতুড়িপেটা করে। এরপর তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওসমানের ভাতিজা কুতুব উদ্দিন রোববার রাতে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল।
ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, চার বছর ধরে ওসমান গনির সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউলের বিরোধ চলছিল। এর জেরে ওসমানের বাড়িতে গিয়ে প্রতিপক্ষ তাঁর বাবা-ভাইসহ পরিবারের কয়েক সদস্যকে কুপয়ে আহত করে। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে গত জানুয়ারিতে কদিমচিলান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাজ্জাক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ওসমান। কিছুদিন আগে জামিনে ছাড়া পান। প্রাথমিকভাবে এটি পাল্টা খুন বলে তাদের ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *