দুই শিশুর হাতাহাতির তুচ্ছ ঘটনায় উত্তেজনা

নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরের মহারাজপুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসায় দুই ছোট্ট শিশু বিথি (৫) ও সাইজারা (৩) এর মধ্যে বিবাদের তুচ্ছ ঘটনা গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত। এদিকে মাদরাসার আয়া পদে চাকরি করে নিজেকে শিক্ষিকা দাবি করা সাইজারার মা গুলেনুরের দায়ের করা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থীর পরিবার। শুক্রবার সকাল ১১টায় মহারাজপুর গ্রামের নিজ গৃহে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে শিক্ষার্থী বিথির মা কোহিনুর বেগম বলেন, ‘বুধবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে দশটায় মহারাজপুর দাখিল মাদরাসার আয়া সাইদুর রহমানের স্ত্রী গুলেনুর খাতুনের শিশু কন্যা সায়জারা (৩) এর মধ্যে তার মেয়ে বিথির ঝগড়া হয়। বিথির ধাক্কায় সাইজারা কষ্ট পেয়ে কান্না করলে তার মা (আয়া) গুলেনুর বিথিকে ৮টি বেত্রাঘাত করে মাদরাসা থেকে বের করে দেন। তিনি মাদরাসায় গিয়ে আয়া গুলেনুরকে মারধর কেন করেছেন জিজ্ঞেস করায় উভয়ের মধ্যে ঝগড়া ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনায় আয়া গুলেনুর ওই দিনই গুরুদাসপুর থানায় আমি ও আমার স্বামী দান্নিস প্রামানিকের বিরুদ্ধে মিথ্যে মারপিটের অভিযোগ দায়ের করেন এবং নিজেকে শিক্ষিকা পরিচয় দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিচার দাবি করেন।’
মাদারাসায় আয়া পদে চাকরি করে নিজেকে শিক্ষিকা দাবি কেন করছেন এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার মোঃ সাইদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘গুলেনুর খাতুন অত্র প্রতিষ্ঠানের আয়া পদে চাকুরি করছেন। শিক্ষিকা দাবি করার সুযোগ নেই। ঘটনার দিন আমি উপস্থিত না থাকায় পরে শুনেছিলাম একজন শিক্ষকের পরিবর্তে আয়া ক্লাস নিয়েছিলেন। তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে আমরা ম্যানেজিং কমিটি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
মাদরাসার আয়া হয়েও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কেন পাঠদান করান এ বিষয়ে জানতে চাইলে আয়া গুলেনুর বলেন, ‘আমি মাঝে মধ্যেই ক্লাস নেই। তবে সেদিন শিক্ষার্থী বিথিকে শুধু একটি বেত্রাঘাত করেছিলাম। পরবর্তীতে বিথির মা ও বাবা এসে আমাকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে মারধর করেন।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাঃ মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মাদরাসার আয়া গোলেনুর গুরুদাসপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরীটি আদালতে তদন্তের অনুমতি চেয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *