সিংড়ায় সাংবাদিককে প্রান নাশের হুমকি॥ থানায় জিডি

নাটোর অফিস ॥
নাটোরের সিংড়ায় সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন (আলীরাজ)কে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে সিংড়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন সাংবাদিক আনোয়ার হেসেন (আলীরাজ)। তিনি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি।
জিডি সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক’ আনোয়ার হোসেন (আলীরাজ) এর সৎ মা মোছা.নকিরন নেছার মৃত্যুর প্রায় তিন বছর পর ভূয়া দলিল করে নেয় উপজেলার আগপাড়া সেরকোল গ্রামের মৃত ইয়াতুল্লাহ মোল্লার ছেলে মো. আফছার আলী। তার আগে একই গ্রামের প্রভাবশালী আবজাল সরকার এর ‘মা’ মোছা.হাবিয়া খাতুন ওই সাংবাদিকের নিজ নামীয় জমিও জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিল করে নিয়ে পরবর্তীতে মোছা.হাবিয়া খাতুন তার আপন ভাতিজা নুরুল আমিনের নিকট হস্তান্তর করে।
সাংবাদিক’ আনোয়ার নাটোর দেওয়ানী আদালতে আফছার আলীর দলিল বাতিলের মামলা করেন। ওই মামলা দায়েরের পর বিবাদীগণ সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন (আলীরাজ) কে নানা ভাবে হয়রানিসহ খুন-জখমের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়। বিবাদীরা রাতের আধারে তাকে খুন করে লাশ গুম করতে পারে। বিবাদীগণ সকলেই প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। জমিসংক্রান্ত মামলা করায় বিবাদীগণ ইতিপুর্বে সাংবাদিককে খুন জখমের উদ্দেশ্যে মারপিট করে। এসব ঘটনায় গত ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবজাল সরকার ও আফছার আলী বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেন তিনি। যাহার জিডি নং ৩৬, তারিখ-০১/০৯/২০২১। পরে বিবাদী আদালত হাজির হয়ে জামিনে বেড়িয়ে আসার পর আবারো তাকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। বর্তমানে সাংবাদিক প্রানাশের শংকায় পরিবার নিয়ে সিংড়া শহরে গিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল আমিন বলেন, অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেনের শরীকের নিকট থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় করা হয়েছে। কিন্তু আনোয়ার হঠাৎ করে এই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করছে এবং আমার দলিল জাল বলে আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি আদালতে চলমান রযেছে। আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন। আনোয়ার হোসেন মিথ্যাবানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ এনে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। অপর অভিযুক্ত মো.আফছার আলী বলেন, অভিযোগকারী আনোযার হোসেন আলীরাজকে কেউ প্রাননাশের হুমকি দেয়নি। বরং তিনি নিজেই জাল দলিল উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টি আদালতেই প্রমাণ হবে। সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জিডি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগতভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *