নাটোরে দুটি ধর্ষণ মামলায় ৩ নারী সহ ছয়জনের যাবজ্জীবন

নাটোর অফিস ॥
নাটোরে পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় ৩ নারী সহ ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন একই আদালত। অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় মোছাঃ হালিমা, মোছাঃ আম্বিয়া, মোছাঃ জেমি, মোঃ নাঈম ও আজবাহার নামে পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অপর এক ধর্ষণ মামলায় আনছার আলী নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে একই আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আনছার আলী সিংড়া উপজেলার কুশাবাড়ি এলাকার তফিজ উদ্দিনের ছেলে। আজ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর নাটোর সদরের চরতেবারিয় এলাকার এক কিশোরীকে অপহরণ করে পাবনায় নিয়ে যায় সেখানে মোঃ নাইমের নামের কিশোরের সাথে জোরপূর্ব বিয়ে দেয়। সেখানে মারধর করে ভিক্টিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে ১০ ডিসেম্বরে ভিকটিম সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে আসে। পরে ১১ ডিসেম্বর ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন্। দীর্ঘ আড়াই বছর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জরিমানার সমুদয় অর্থ আদায় পূর্বক ভিকটিমকে প্রদান করার নির্দেশ দেয়া হয়।
অপর মামলার সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার কুশাবাড়ি এলাকার জনৈক আনছার আলী ২০০৪ সালের ৯ অক্টোবর রাতে জোরপূর্বক এক নারীকে তার বাড়িতে চাকু দেখিয়ে ধর্ষন করে।পরে ১৩ অক্টোবর ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে সিংড়া থানায় হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আনছার আলীর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ আঠার বছর পর বৃহস্পতিবার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিছুর রহমান জানান, দন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ ও পতিতালয়ে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত পাঁচ জনের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি। অপর মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছেন একই আদালতের বিচারক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *