নাটোরে মহাসড়ক নিরাপত্তায় মাঠে বাস মালিকরা!

নাটোর: দুর্ঘটনা রোধসহ নাটোরের সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জনসচেতনতায় মাঠে নেমেছেন বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। লালপুরের কদমচিলান এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১৫ জনের প্রানহানির পর নড়েচড়ে বসেন জেলার বাস মালিকরা। জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পর তারা জেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে গিয়ে দুর্ঘটনারোধে চালক-হেলপারদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সাগরের নেতৃত্বে বাস মালিকরা নাটোর-রাজশাহী,নাটোর-বগুড়া নাটোর-পাবনা ও নাটোর-বনপাড়া-হাটিকুমরুল-ঢাকা মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মাহাড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক-হেলপারদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বিভিন্ন বাস স্টপেজে গিয়ে বাস চালক ও হেলপারদের সড়ক-মহাসড়কে চলাচলে কি কি করনীয় তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এসময় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির প্রয়োজনীয় সকল প্রকার কাগজপত্র হালনাগাদ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন। গাড়িতে কর্মরত সুপারভাইজার , হেলপার ও গাইডদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। হুঁশিয়ার করা হচ্ছে গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা, অনিয়ন্ত্রিত ওভারটেকিং থেকে বিরত থেকে গতিসীমা নিয়ন্ত্রন রেখে ও সড়কের পাশে টানানো দিক নির্দেশনা সাইনবোর্ড লক্ষ্য করে গাড়ি চালানোর জন্য এবং যত্রতত্র পাকিং এবং নির্দিষ্ট স্থানে অথবা সড়কের ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রি ওঠানো নামানো করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। এছাড়া সড়কের ধারে স্কুল ,কলেজ ও মসজিদ-মাদ্রাসা থাকলে গতিসীমা নিয়ন্ত্রন করে চারিদিকে লক্ষ্য রেখে গাড়ি চালানোর নির্দেশ বা পরামর্শ দিচ্ছেন। একই সাথে তারা এসব সড়ক-মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও নসিমনসহ অবৈধ যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে তাও তদারকি করছেন। ইতিমধ্যে এসব পরামর্শ বা নির্দেশনা বিষয়ে ব্যাপক প্রচারের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এসময় জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমান, আসাদুজ্জামান টুটুল, হারুনর রশীদ প্রমুখ মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দলের সঙ্গে ছিলেন।
মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী তারা সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ রাখার জন্য চালক-হেলপারদের নানাভাবে সতর্ক করাসহ পরামর্শ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। সড়কে তিন চাকার যানবাহন বন্ধ করার কারনে যাত্রিদের যেন ভোগান্তি বা দুভোর্গে পড়তে না হয় সেজন্য সড়কে মিনিবাস নামানো হয়েছে। আন্তজেলা ও লোকাল রুটে বেশী করে গাড়ি নামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্য জেলার মালিকদেরও বিষয়টি বলা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *