
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নাটোরে দ্রুত পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা জরুরী বলে মত দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। সেই সাথে পরীক্ষা ফি বন্ধ করে পরীক্ষা বাড়ানো ও সরকারের প্রনোদনায় অধিকতর স্বচ্ছতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউজের আয়োজনে জুম প্লাট ফরমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ। এছাড়া জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরি জলি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ, সদর ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম, বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, সনাক সভাপতি রনেন রায়, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিমুল হক, টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম, ব্রাকের জেলা কো অডিনেটর বজলুর রশিদ, এনএসকেএস এর নির্বাহী পরিচালক রওশন আরা শ্যামলী, জাতীয় অদিবাসী পরিষদ নাটোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কালিদাস রায়।
এছাড়া কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা, এটিএন বাংলার জুলফিকার হায়দার জোসেফ, প্রথম আলোর মুক্তার হোসেন, সময় টিভির আল মামুন এবং বাংলা ট্রিবিউনের কামাল মৃধা অংশগ্রহন করেন।

এরআগে দাতা সংস্থা ইউএসএইড এর সিভিল সোসাইটি অ্যাডভাইজার সুমনা বিনতে মাসুদ এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট সৈয়দ সুলতান চাঁদ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে জনপ্রতিনিধিরা। আমরা ন্যায় বিচার চাই। কারো বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় আমরা সক্ষমতার সাথে কাজ করছি, কিছু ভুল ত্রুটি হতেই পারে। আমাদের ত্রাণ নিয়ে কোন সমস্যা নেই। আমি আশ্বস্ত করতে চাই। সকলে মিলেই আমরা কাজ করছি। কারো সাথে বৈষম্যমূলক আচরন করার সুযোগ নেই। স্বচ্ছ ও জবাবদিহি মুলক প্রশাসনই আমাদের লক্ষ্য।

দাতা সংস্থা ইউএসএইড, ইউকেএইড এর আর্থিক এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরি সহযোগিতায় কোভিড-১৯ অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রেসপন্স কর্মসূচীটি নাটোর, রাজশাহী ও বগুড়া জেলায় বাস্তবায়ন হচ্ছে।



