
অতি বৃষ্টিপাত ও আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নাটোরের সিংড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের অনেকে আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করছে। ইতোমধ্য প্রায় ৫০ টির মত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তৃত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
পৌর এলাকার ৫ টি কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করেছে। বন্যায় আত্রাই, গুরনই, বারনই এবং নাগর নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিংড়া পয়েন্টে মঙ্গলবার সকালে ৬৫ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সিংড়া-কলম সড়কের বলিয়াবাড়ী এবং নুরপর এলাকার রাস্তা। যেকোন মুহূর্তে ধসে যেতে পারে এ রাস্তাটি। এছাড়াও রোপা আমন ও ৫ শতাধিক পুকুর ভেসে গেছে। তাছাড়া বিলের ঘাস ডুবে যাওয়ায় খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে গবাদিপশু।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার জানান, ১২ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১৫৪ টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৬ মে: টন চাল বরাদ্দ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তালিকা অব্যহত আছে।

সিংড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, পৌরসভার সিংড়া বাজারে পানি উঠেছে। সরকারপাড়া ও গোডাউন পাড়া, নিংগইন মহল্লা ঝূকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁধ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্য পৌর এলাকার মহেশচন্দ্রপুর, নিংগইন, চলনবিল মহিলা কলেজ এবং আনোয়ারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ১১০ টি পরিবার আশ্রয় গ্রহন করেছে। আমরা তাদের সরকারী সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি।

এদিকে বিকেল থেকে ত্রিমোহনী কলেজ এলাকার রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।




