নাটোর
র্যাব-৫, সিপিসি-২ এর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা, রাত সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার বাহিমালী এলাকায় টহল দিতে গেলে একদল সন্দেহভাজন লোককে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। এসময় তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা র্যাবকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। র্যাব আত্নক্ষার জন্য পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়। তবে ওসমান গণি গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় র্যাব সদস্য সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনজুর আহমেদ ও কনস্টেবল এনামুল হক আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান মাদক, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে ওসমান গণিকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ঘটনাস্থল হতে একটি ৭.৬২ বিদেশী পিস্তল, ০৪ (চার) রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন, পিস্তলের গুলির একটি খালি খোসা, সাদা পলিথিনের প্যাকেটে রক্ষিত বাদামী রংয়ের সর্বমোট ৪১০ (চারশত দশ) গ্রাম হিরোইন, নগদ ১৪১০ টাকা, একটি চার্জার লাইট, ০২ (দুই) টি গ্যাস লাইট, ০১ (এক) টি মোবাইল ফোন, ০২ (দুই) টি ডার্বি সিগারেটের প্যাকেট এবং বিভিন্ন কালারের স্যান্ডেল ০৭ (সাত) টি।
গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস রিলাজে র্যাব-৫ দাবী করে, বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ দীলিপ কুমার দাস নিহতেন পরিচয় নিশ্চিত করেন। তার বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক ও চাঁদাবাজি সহ ০৫ টি মামলা রয়েছে। সে নাটোর জেলার অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। ধারনা করা হচ্ছে যে নিহত ও পলাতক ব্যাক্তিরা মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য উক্ত নির্জন স্থানে অবস্থান করছিল।



