
নাটোর জেলায় আগত বহিরাগতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে উদয়াস্ত ভূমিকা পালন করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল পর্যায়ের সদস্যরা। মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে দিনরাত এক করে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে পুলিশ। তবে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে আগত ব্যক্তিদের তথ্য গোপন এবং এলাকায় আড্ডাবাজি চালাচ্ছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা স্পর্শ করবে না, এমন ধারণা থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে রমরমা আড্ডাবাজি অব্যাহত রেখেছে কিছু মানুষ। এতে সংক্রমণের চতুর্থ ধাপে খুব দ্রুত করোনার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটতে পারে নাটোরে।

সোমবার দিনে নাটোর শহরের এন এস সরকারী কলেজ মসজিদের বিপরীতে জলারপাড় এলাকায় ঢাকা ফেরত ব্যক্তিদের খোঁজ করতে আসে পুলিশ। সন্ধ্যার পর থেকে ওই এলাকার সবগুলো রাস্তা বাঁশ দিয় লকডাউন করে।
পরিচয় প্রকাশ করে এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, সম্প্রতি এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢাকা ফেরত ভাগিনার আসার বিষয়টি এলাকায় চাউর হলে ভাগিনা বাড়ি ত্যাগ করে। এতে ওই ব্যবসায়ী পুলিশি জেরা থেকে বাঁচতে এলাকার যুবকদের বাঁশ দিয়ে লকডাউন করতে সহায়তা করেছেন।

পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে করা এমন সেল্ফ লকডাউন সম্পর্কে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ব্যক্তিস্বার্থে কেউ লকডাউন করতে পারবেন না। এ ধরণের লকডাউনের ব্যপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



