
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তমালতলা বাজারে মাছ, কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে রাস্তার উপরে বসেছে বিভিন্ন দোকানের পসরা। শুধুমাত্র স্থানীয় জনগণই না যারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন তাদেরকেও ক্রেতা-বিক্রেতা হিসেবে চোখে পড়ে তমালতলা হাটে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্থানীয় সচেতন মহল উদ্বিগ্ন।
স্থানীয় বলেন, তমালতলা বসা লাগানো এবং এলাকার অবস্থা দেখে অনেকটা হতাশ আমরা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অনেক মানুষই বাড়ির বাইরে এসে মেতে উঠছেন গল্প-আড্ডায়। অথচ সংক্রমণ যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য লোকজনকে রাস্তায় বের না হতে নির্দেশনা এসেছে সরকারের কাছ থেকে। প্রধানমন্ত্রীও জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে করোনার সংক্রমণ রোধে ঘরে থাকার যে আহবান জানানো হয়েছে তা ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে বাগাতিপাড়ায়।
বাগাতিপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রোজ বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সরকারি আদেশ বাস্তবায়নে বাগাতিপাড়া থানা পুলিশকে সক্রিয় মনে হয়েছে। তারা সাধারণ মানুষকে মাইকিং করে বা সরাসরি বুঝিয়ে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও আইনকে শ্রদ্ধা করে সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে অনেকেই অসচেতনভাবে খেয়াল খুশিমতো চলছে। তাই জেলা শহরের সাথে সাথে উপজেলা পর্যায়ে বিশেষ করে বাগাতিপাড়া সেনাবাহিনীর টহল দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
তমালতলা হাট বসানোর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল বলেন, বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহেবকে তমালতলা হাট বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছিলাম। তার পরেও যদি এভাবে হাট বসে তাহলে আমরা মানুষকে মারপিট করে ঘরে ঢুকাতে পারি না।



