নাটোর অফিস।।
নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল পশু হাটে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় নাটোর সেনাবাহিনীর একটি টীম।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ওই পশু হাটে গিয়ে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেলে তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত খাজনার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। সে মতে ইজারাদাররা মাইকিং করে পশু ক্রেতাদের মাঝে ফেরত দেয় অতিরিক্ত টাকা। এতে ৫ শতাধিক পশু ক্রেতা অতিরিক্ত টাকা ফেরত নেয়। টাকা ফেরত পেয়ে উপস্থিত সকল ক্রেতা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনবাহিনীর ভূঁয়সী প্রশংসা করে। অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার সময় ইজারাদাররা ভবিষ্যতে সরকার নির্ধারিত খাজনার বাইরে অতিরিক্ত খাজনা নিবে না বলে সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিশ্রæতি প্রদান করেন।
জানা যায়, প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার উপজেলার জোনাইলে পশু বড় হাট বসে। হাটের জন্য নির্ধারিত দিন হিসেবে শনিবার দুপুর থেকে হাট জমতে শুরু করে। হাটে প্রতি ছাগলের খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করে। অথচ এই খাজনা সরকারী তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ছিলো ক্রেতার কাছ থেকে ছাগলের মূল্য অনুসারে ১১০ থেকে ২২০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ২২-৫৫ টাকা। অপরদিকে ইজারাদাররা গরুর খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করে। যা সরকারী তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ক্রেতার কাছ থেকে গরুর মূল্য অনুসারে ৩৩০-৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৬০-১২০ টাকা।
গরু বিক্রি করতে আসা আদগ্রামের আদম আলী জানান, যে গরু ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবং যে গরু ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে তাদের উভয়ের খাজনা একই পরিমাণ। অর্থাৎ ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ইজারাদাররা মোট ১০০০ টাকা আদায় করছে। একই ভাবে ৪০ হাজার টাকার ছাগল ও ১০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রিতেও একই পরিমাণ খাজনা নিচ্ছে। যা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।
কোরবানীর জন্য ছাগল কিনতে আসা কলেজ শিক্ষক ওসমান গণি জানান, পশু হাটে খাজনা আদায়ের চার্ট খুঁজলাম। কিন্তু কোথাও পেলাম না।
ইজারাদারদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, আমরা বেশী নিচ্ছি না। তাই চার্টেরও প্রয়োজন নাই। এদিকে খাজনার রশিদে পশুর দাম লিখে দিচ্ছে কিন্তু খাজনা কত নিলো তা লিখছে না।
জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, হাটের বিষয়ে আমি কোন মাথা ঘামাই না। যারা ইজারা পেয়েছে তারাই খাজনা আদায় করছে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাজনার বিষয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি সাংবাদিকরা খেয়াল রাখছে। অতিরিক্ত খাজনা নিলে সাংবাদিকরাই প্রশাসনকে প্রমাণ সহ তথ্য দিয়ে সহায়তা করে।